টেরেসোপোলিস: ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। রিও ডি জেনিরো শহরের কাছে পাহাড়ি এলাকা টেরেসোপোলিস ও এর আশপাশের এলাকায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে ৫০ জনেরও বেশি নিখোঁজ আছেন বলেও জানা যায়।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, গত তিন দিনে সেখানে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা একইরকম দেখানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যম জানায়, পাহাড়ি এলাকা সেরানায় মঙ্গলবার ও বুধবার ৯৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
শহরে প্রচন্ড বৃষ্টি আর পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে এই প্রাণহানি ঘটে।
টেরেসোপোলিসের মেয়রের অফিস থেকে জানানো হয়, প্রচন্ড বৃষ্টির ফলে সেখানে বন্যা ও পাহাড় ধসে ৭১ জন মারা গেছেন। পাশের পেট্রোপোলিসে মারা গেছেন ১৮ জন। এছাড়া নোভা ফ্রিবার্গোতে মারা গেছেন আরও ৭ জন। এদের মধ্যে তিন উদ্ধারকর্মীও আছেন। এছাড়া সোমবার ও মঙ্গলবার সাও পাওলোতে মারা যায় ১৩ জন।
ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে এবং টেলিফোন লাইনও অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
টেরেসোপোলিসের মেয়র জর্জ মারিও এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা বড় ধরনের বিপর্যয় এবং ভয়ানক দুর্যোগ। ’
এক লাখ ৮০ হাজার জনসংখ্যার ওই শহরের কয়েকশ বাড়িঘর মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
মেয়র বলেন, ‘অন্তত এক হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে শহরের ব্রিজ ও রাস্তাঘাট। ’
৫৫ বছর বয়সী একজন স্থানীয় অধিবাসী বলেন, ‘এই দুর্যোগের দৃশ্য টেলিভিশনে দেখে আমার মনে হয়েছে, ভয়ঙ্কর কোনো চলচ্চিত্র দেখছি। প্রচন্ড পানির তোড়ে বাড়িঘর, গাড়ি সব ভেসে যাচ্ছে। এটা ভয়ানক আতঙ্কজনক দৃশ্য। ’
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ঘরহারাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের চার্চ ও স্কুলে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ উদ্ধার কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে।
এই দুযোর্গ মোকাবেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট ডিলমা রৌসেফ ৪২ কোটি ডলার জরুরি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১