ঢাকা: ছেলেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদত্যাগ করেছেন তুরস্কের অর্থমন্ত্রী জাফর কাগল্যয়ান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াম্মার গুলার। মন্ত্রীদ্বয় পদত্যাগ করলেও দুর্নীতির তদন্তে তাদের সন্তানসহ সরকারের বেশ কয়েকজন আমলাকে গ্রেফতার করায় দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের ভিত নড়ে গেছে।
সম্প্রতি দেশটির সরকার পরিচালিত ‘হাকব্যাংক’র প্রধানসহ ২৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির একইরকম অভিযোগ গঠন করে দেশটির পুলিশ। তবে, এ ঘটনাকে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেয় ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টির (একেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার।
পদত্যাগের আগে এক বিবৃতিতে একে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এমন কাজের তীব্র নিন্দা জানান অর্থ মন্ত্রী জাফর। তিনি বলেন, এই তদন্ত ‘অসম্মানজনক অভিযান’।
এছাড়া, এ ঘটনার তদন্তের স্বার্থে পদত্যাগ করে বিবৃতি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াম্মার। তিনি বিবৃতিতে বলেন, দুর্নীতি হয়ে থাকলে সেটা প্রকাশ্যে আসুক, নতুবা যারা এই ষড়যন্ত্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
মুয়াম্মার বলেন, যেহেতু আমার ছেলে সরকারি কোনো কর্মকর্তা নয়, সেহেতু তাকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আটক করার আইনি কোনো ভিত্তি নেই।
সরকারকে খাটো করার জন্য যারা এই ষড়যন্ত্র করছে তাদের ‘হাত ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান।
অর্থমন্ত্রী জাফরের ছেলে কান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াম্মারের ছেলে গুলারের বিরুদ্ধে নগর উন্নয়ন প্রকল্পে ঘুষ গ্রহণ ও নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ আনে ইস্তাম্বুল পুলিশ। কান ও গুলার ছাড়াও দুর্নীতে অভিযুক্ত প্রায় সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে, কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃতরা।
ইতোমধ্যে দুর্নীতির তদন্তের নামে ‘সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করায়’ ইস্তাম্বুল পুলিশের প্রধানসহ অনেক শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদচ্যুত করেছে এরদোগানের নেতৃত্বাধীন সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর