লন্ডন: খাদ্যদ্রব্যের মূল্য এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে বলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে। এর ফলে চিনি, মাংস এবং খাদ্যশস্যের পাইকারি মূল্য বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে (ডিসেম্বর) খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ২০০৮ সালের তুলনায় বেশি ছিল বলেও জানা যায়। সেসময় খাদ্য সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী দাঙ্গা, বিক্ষোভ সংঘটিত হয়।
আর বর্তমানে তিউনিশিয়া এবং আলজেরিয়ার বিক্ষোভও খাদ্যদ্রব্যের অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করে এফএও। খাদ্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তেলের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গত দু’বছরের মধ্যে তা সর্বোচ্চ। আর এগুলো বিপদের সংকেত বলেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ২০০৮ সালে অধিকাংশ প্রধান খাদ্যের উচ্চ ফলন দামকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। কিন্তু ২০১০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় খাদ্য রপ্তানিকারী দেশগুলোর ভেতরে ভয়াবহ খারাপ আবহাওয়া সরবরাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এসব দেশের মধ্যে আছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি। গত বছরের প্রথমদিকের তুলনায় চলতি বছর খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
কানাডার বন্যায় দেশটির ফসলি মৌসুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বন্যা গম ও আখের চাষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এছাড়া পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়ে খরা ও আগুনের কারণে রাশিয়াসহ এর পাশ্ববর্তী অঞ্চলের গম ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এর ফলে ফসল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে বাধ্য হয় রাশিয়া ।
আর প্রাকৃতিক এসব বিপর্যয়ের কারণে গত দু’বছরের তুলনায় চলতি বছর গমের ফলন অপ্রত্যাশিত পরিমাণ কম হয় বলে মার্কিন সরকারের এক হিসেবে জানা যায়। এভাবে খাদ্যশস্যের ফলন কম হওয়ায় এর চাহিদা ও দাম বেড়েছে।
এছাড়া সামনে আছে অনাবৃষ্টির আশঙ্কা। প্রাকৃতিক এ বিপর্যয় শস্যের ফলনে প্রভাব রাখবে এবং স্বাভাবিকভাবে তা খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করবে বলে এফএও আশঙ্কা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১