বৈরুত: লেবাননের জোট সরকার থেকে হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য মিত্র দল পদত্যাগ করার পর দেশটির সরকারের পতন হয়েছে। খবর আল জাজিরা ও এএফপির।
২০০৫ সালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক আল-হারিরির হত্যাকা- বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্তের জের ধরে সরকার থেকে দলগুলো সরে দাঁড়ায়।
লেবাননের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং হারিরির ছেলে সাদ হারিরির সঙ্গে জাতিসংঘ সমর্থিত লেবাননের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মাসব্যাপী জোট সরকারের প্রভাবশালী দল হিজবুল্লাহসহ অন্যদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই বুধবার দলগুলো পদত্যাগ করে।
মূলত ওই তদন্তসহ অন্যান্য বিরোধপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকের আহ্বান জানায় দলগুলো। কিন্তু সাদ হারিরি সরকার তাদের এ আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার ১০ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে ১১তম ব্যক্তি হিসেবে আদনান সাইদ হোসেইন ৩০ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিপরিষদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সংবিধান অনুযায়ী সাদ আল-হারিরি সরকারের পতন হয়।
লেবাননের বিশেষ এ ট্রাইব্যুনাল যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলি চাল বলে মাসব্যাপী পশ্চিম সমর্থিত সরকারকে এ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের আহ্বান জানিয়ে আসছিল ইরান ও সিরিয়া সমর্থিত হিজবুল্লাহ দল। মূলত এ থেকেই বিরোধের সূত্রপাত হয়।
তবে পদত্যাগের ঘটনায় লেবাননের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হারিরি হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হিজবুল্লাহ সদস্যদের অভিযুক্ত করতে পারে বলে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দেশটিতে শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পারতে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে ২০০৯ সালের নভেম্বরে গঠিত এ জোট সরকার থেকে দলগুলো যখন পদত্যাগ করে তখন দেশের সংকট নিয়ে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আলোচনা করছিলেন লেবাননের প্রধান সাদ হারিরি।
দলগুলোর পদত্যাগের ঘটনা নিয়ে হারিরি (৪০) কোন মন্তব্য করেননি। বরং বৃহস্পতিবার তিনি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ফ্রান্সে যাবেন।
লেবাননের সরকারের মধ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য হিজবুল্লাহকে দোষী করাসহ হারিরি এবং ট্রাইব্যুনালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
একইসঙ্গে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও এ ট্রাইব্যুনালের প্রতি তাদের নিঃশর্ত সমর্থন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১১