ঢাকা: হত্যা ও ধর্ষণের অপরাধে এক মার্কিন নাগরিককে ৪৪৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ইলিয়াস এ্যাইসভেডো (৪৯) নামে ওই ব্যক্তি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।
এ্যাইসভেডোকে ‘যৌন অপরাধী’ উল্লেখ করে মামলার প্রসিকিউটর জানান, কারাভোগকালে তিনি প্যারোলের জামিনের সুযোগ পাবেন না। অপরাধের শিকার নারীরা ‘মানসিকভাবে পর্যদুস্ত’ এটি উল্লেখ আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রায় দুই দশক আগে প্রতিবেশি দুই নারীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা এবং এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৯৭টি অভিযোগে অভিযুক্ত এ্যাইসভেডো রায় ঘোষণার সময় আদালতে কেঁদে ফেলেন। আপন ভাবিকে ধর্ষণ এমনকি নিজ দুই কন্যাও তার যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি।
ইয়াহু নিউজ জানায়, ১৯৯৪ সালে এ্যাইসভেডোর ৩০ বছর বয়সী প্রতিবেশি পামেলা পেমবার্টনকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। তার পরের বছর পামেলার মৃতদেহ উদ্ধার পাওয়া যায়। ১৯৯৫ সালে ১৮ বছর বয়সী এক সন্তানসম্ভবা নারীকেও তিনি ধর্ষণের পর হত্যা করেন। এই দুই ঘটনার দায়ও তিনি আদালতে স্বীকার করেছেন। মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতেই তিনি এমনটি করেছেন বলে জানান।
১৯৯৩ সালে তার ভাবিকেও তিনি ধর্ষণ করেন। এছাড়া বছরের পর তিনি তার দুই মেয়েকেও যৌন হয়রানি করেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর