ঢাকা: ভিসা জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে গেছেন।
দেবযানীকে কূটনীতিক রেহাই সুযোগ (ডিপ্লোম্যাটিক ইমমিউনিটি) দেওয়ার ব্যাপারে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতার পরেই তিনি দিল্লি ফিরলেন।
এদিকে ভারত থেকে এক কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের কয়েকটি সংবাদ বলছে, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দেবযানী ভারতে ফিরলেন এবং দেবযানীর সমপর্যায়ের এক কূটনীতিককে প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে মার্কিন ওই কূটনীতিককে ভারত বহিষ্কার করছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। অনেকে বলছেন, এ ঘটনা দুই দেশের চলমান তিক্ত সম্পর্ককে আরও তিক্ত করবে।
তার পক্ষ হয়ে লড়ায় ভারতের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ দেবযানী। দিল্লিতে ফেরার পর ৩৯ বছর বয়সী এ কূটনীতিক বলেন, ‘যে সমর্থন আমার দেশ আমাকে দিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। ’
যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার শর্তে দেবযানীকে ভিসা জালিয়াতি মামলায় আপাতত অব্যাহতি দিয়েছে। কিন্তু তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলে এ মামলা আবার চালু করবে দেশটির সরকার।
ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার সময় ভিসায় গৃহ পরিচারিকাকে প্রতিশ্রুত বেতনের অনেক কম দেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কে দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গত ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক পুলিশ দেবযানীকে গ্রেফতার করে। জনসম্মুখে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিবস্ত্র করে দেহতল্লাশি করা হয় এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাকে হাজতে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারত। প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকতের সবধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। এমনকি দিল্লিস্থ মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা ব্যারিকেডেও সরিয়ে নেওয়া হয়। কূটনীতিকের স্ত্রী বা আত্মীয় ভারতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের তালিকা, বেতন-ভাতার হিসাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। মার্কিন দূতাবাসের ভেতরে একটি ক্লাবও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর