ঢাকা: দিল্লির নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতিবাদী অবস্থান ধর্মঘটের জেরে অচল হয়ে গেছে দিল্লির কেন্দ্রস্থল।
ভারতের হাই সিকিউরিটি জোন হিসেবে পরিচিত দিল্লির পার্লামেন্ট এলাকার রাস্তায় সোমবার সারারাত অবস্থান করেন কেজরিওয়াল।
এছাড়া পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টার সময় কেজরিওয়াল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কা-ধাক্কি ঘটে। আহত হন একজন পুলিশ সদস্য।
সমর্থকরা এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তবে এএপির দাবি অন্য দলের কর্মীরা তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে।
দিল্লি পুলিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অযোগ্যতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দাবি মানা না পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে সারা রাত রাস্তায় কাটানো কেজরিওয়াল ।
৪৫ বছর বয়সী দিল্লির নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি সরকার ২৬ তারিখের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না করে তাহলে লাখ লাখ লোক দিল্লির রাজপথে নেমে আসবে। (দিল্লির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রধান রাস্তার নাম রাজপথ)।
এর আগে প্রতিবাদ কর্মসূচি যন্তর মন্তরে নিয়ে যাওয়ার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে কেজরিওয়াল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন কোথায় বসতে হবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয়।
কেজরিওয়াল এবং তার আম আদমি পার্টির দাবি রাজ্য সরকারকে দিল্লির পুলিশের কর্তৃত্ব দিতে হবে। বর্তমানে দিল্লির পুলিশ বিভাগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
একই সঙ্গে নতুন রাজ্য সরকারের আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতীর নির্দেশ অমান্য করা ৫ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তেরও দাবি জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
এদিকে এএপির অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রতি বছরই ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে দিবসের মূল অনুষ্ঠান সামরিক কুঁচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় দিল্লির রাজপথে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৪