ঢাকা: থাইল্যান্ডে সরকার বিরোধীদের চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার রাজধানী ব্যাংককের বহু সরকারি ভবন বন্ধ হয়ে গেছে। আন্দোলনকারীরা কাস্টমস বিভাগসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারির আগাম নির্বাচনের আগে সরকারকে উৎখাত করতে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দ্রুত সরে গিয়ে কোনো কথিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকার পরিচালিত হচ্ছে তার ভাইয়ের নির্দেশনায়। পাশাপাশি টাকার প্রভাব থাইল্যান্ডে ত্রুটিপূর্ণ রাজনীতির সৃষ্টি করেছে।
এর আগে সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। রাস্তায় রাস্তায় তৈরি করা হয় ব্যারিকেড, প্রধান প্রধান মোড়গুলোও আন্দোলনকারীরা দখলে নেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮ হাজার সদস্য মোতায়েন করে সরকার।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিলকে’ ক্ষমতায় বসানোর জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
তাদের অভিযোগ, ২০০৬ সালে সেনাঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাই তার বোন ইংলাকের সরকারের নিয়ন্ত্রণ করছেন।
এছাড়া, থাকসিনকে দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই দিতে ইংলাক একটি আইন প্রণয়ন করেছেন দাবি করেই মূলত রাস্তায় নামে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর
