তেহরান: নতুন বছরের শুরুর মাসেই ইরান দুইজন রাজনৈতিক কর্মীসহ ৪৭ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। আন্তর্জাতিক একটি মানবাধিকার সংস্থা মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।
সাকিনাহ মোহাম্মদি আশতিয়ানি (৪৩) নামের এক নারীকে কে পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদ-ের রায় দেওয়া হলে সারা বিশ্বে এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রতিবাদর করা হয়। এর ফলে এই রায় স্থগিত করে তাকে ১০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাদক চোরাচালানের অপরাধে এসব ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন রাজনৈতিক কর্মী রয়েছে।
ইরানে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর হিউম্যান রাইটস (আইসিএইচআরআই) জানায়, নতুন বছরের শুরুতে প্রতি আট ঘণ্টায় একজন করে অর্থাৎ মোট ৪৭ জন কারাবন্দীকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ মৃত্যুদ-ই মাদক পাচার সংক্রান্ত অপরাধের কারণে কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন রাজনৈতিক কর্মীও রয়েছেন। এদের মধ্যে আলি সারেমিকে সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে রসিকতা করার অভিযোগে এবং হোসাইন খেজরিকে পিজাক নামের একটি কুর্দির সশস্ত্র দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়।
ইরানের সংসদীয় মানবাধিকার সংস্থার প্রধান জোহরা এলহিয়ান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফকে লেখা একটি চিঠিতে বলেন, ‘পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি এখনও কার্যকর করা হয়নি। এছাড়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ও তার সন্তানদের কথা বিবেচনা করে তা বাতিল করা হয়েছে। ’ তিনি আরও বলেন আশতিয়ানিকে ১০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
অ্যামিনেস্টি ইন্টান্যাশনালের ড্রুয়ারি ডাইক বলেন, ‘আশতিয়ানির পরিনামের সংবাদ পুরাতন, যা নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফকে চিঠি লেখা হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে মৃত্যুদ-ের সংখ্যার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সবার মনোযোগ হারাচ্ছে। ’
অন্যান্য দেশের তুলনায় ইরানে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। ইরান ২০০৯ সালে ৩৮৮ জন এবং ২০১০ সালে ১৭৯ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। এর পরবর্তী অবস্থানেই রয়েছে চীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১১