মিয়ামি: নাওমি ব্যাপটিস্ট মনে করেছিলেন নর্থ মিয়ামি বিচ সিনিয়র হাই স্কুলের প্রথম দিনটি হবে স্মরণীয়। শিক্ষকরা তার জন্য অপেক্ষা করবে, তাকে বরণ করে নেবে।
কাসে ঢুকে অন্য শিক্ষার্থীদের মতো নাওমিও হতভম্ব। নাউমি বলেন, ‘শ্রেণীকক্ষে কেবল কম্পিউটার আর কম্পিউটার। আর পুরো সামারে যা কিছু পড়ানো হবে তার সবই আমাদের জন্য কম্পিউটারে রেখে দেয়া হয়েছে। ’
মিয়ামি ডেইড কাউন্টি সরকারি স্কুলগুলোতে নাওমির মতো আরও সাত হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এইসব স্কুলগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ের ওপর কম্পিউটারের মাধ্যমে কাস নেওয়া হয় এবং কোনো শিক্ষক এসময় থাকে না। সেখানে একজন ‘সহায়ক ব্যক্তি’ থাকেন যিনি শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি কেবল টেকনিক্যাল সমস্যাগুলোই সমাধান করেন।
এই ভার্চুয়াল (ছায়া) এই শ্রেণীকক্ষকে ই-লার্নিং ল্যাবও বলা হয়। এই স্কুল বাড়িতেও অনলাইন কাস সরবরাহ করে। আর যেসব শিক্ষার্থী অতিরিক্ত কোর্স নিতে চায় তাদেরও সহায়তা করে। শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পড়া সম্পর্কে তথ্য গ্রহণ করে এবং কোনো সহায়তা প্রয়োজন হলে ই-মেইল, ফোন অথবা নির্দেশনার সাহায্য নেয়।
ফোরিডার শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীসংখ্যা হ্রাস সংক্রান্ত একটি সংশোধনী পাশ হয় ২০০২ সালে। এই আইন বলে গত বছরের আগস্ট থেকে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানো হলেও ভার্চুয়াল ল্যাবের ক্ষেত্রে এই নিয়ম নেই।
যেখানে বেশিরভাগ স্কুলেই কর্মসূচি সম্পর্কে আগে থেকেই জানানো হয় সেখানে এই স্কুলগুলোর কিছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বলছেন তারা কাসের এই নতুন সিস্টেম সম্পর্কে জানতেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ১৮ জানুয়ারি ২০১১