তিউনিশ: তিউনিশিয়ার নবগঠিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকার থেকে মঙ্গলবার তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগী মন্ত্রীদের অভিযোগ, পলাতক প্রেসিডেন্ট জাইন আল-আবিদিন বেন আলির সরকারের সাবেক বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে অন্তবর্তী সরকারে রাখা হয়েছে।
পদত্যাগ করা তিন মন্ত্রীর একজন বার্তাসংস্থা এএফপিকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
পদত্যাগী তিন মন্ত্রী শ্রমিকদের সংগঠন জেনারেল ইউনিয়ন অব তিউনিশয়ান ওয়ার্কার্স (ইউজিটি)-এর নেতা। এই সংগঠনটিই সরকারি বিরোধী আন্দোলনে মূল ভূমিকার পালন করেছে।
দেশটির সবচেয়ে বড় ট্রেড ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দল আট মন্ত্রীর গতানুগতিক এ সরকার প্রত্যাখ্যান করে। নতুন গঠিত সরকারের প্রতিবাদ করে রাজধানী তিউনিশের কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার প্রতিবাদকারী।
বেন আলির শাসনামলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘এন্নাদাহ’ (জাগরণ) আন্দোলনের সাবেক নেতা চৌরু (৬৩) বলেন, ‘নতুন সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং তাদের অবশ্যই পতন হবে। ’
এসময় সরকারের প্রতিবাদ করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘আমরা রুটি, পানি খেয়ে বাঁচতে চাই, কিন্তু আরসিডির সঙ্গে থাকতে চাই না। ’ আরসিডি সাবেক পলাতক প্রেসিডেন্ট বেন আলির দল। এ দলের অনেক সদস্য নতুন গঠিত সরকারের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখল করেছে।
এ বিষয়ে তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানৌছি সোমবার জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘তিনি এবং অন্যান্যরা দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। ’
ফ্রান্সের রেডিও ইউরোপ ওয়ানকে তিনি আরও বলেন, ‘তারা তাদের পদে বহাল আছেন কারণ এসময়ে আমাদের তাদেরকে প্রয়োজন। তাদের কারও বিরুদ্ধেই কোনো অভিযোগ নেই। ’
নতুন সরকারে পুরানোদের বহাল রাখা বা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিতে অনেকেই অসন্তুষ্ট। ট্রেড ইউনিয়নের এমনই এক কর্মী তার অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বলেন, ‘একে অন্তর্বর্তী সরকার বলা যায় না। এটা নতুন মোড়কে পুরনো পণ্য। ’
নতুন সরকারের প্রতিবাদ করে একজন ফেসবুকে লিখেন, ‘একনায়কের পতন হলেও একনায়কতন্ত্রের পতন হয়নি। তিউনিশিয়াবাসীর তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়া উচিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১১