ঢাকা: স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অনেকে নিজের সঙ্গী জুটান। আবার কর্মস্থলেও পেয়েছেন অনেক জীবনসঙ্গী।
গত কয়েক বছর আগেও এভাবে চলে আসছিল। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো প্রেমের এসব ক্ষেত্রকে সংকুচিত করে ফেলছে। অনলাইনে চ্যাটিং-ডেটিং হচ্ছে। তার তা গড়াচ্ছে প্রণয় থেকে পরিণয়ে।
গবেষকেরা বলছেন, ২০ বছরের মধ্যে অনলাইনে পরিচয় হওয়া প্রেমিক-প্রেমিকার সংখ্যা বিদ্যমান জুটিদের অর্ধেক হবে। অর্থাৎ ২০টি জুটি থাকলে তাদের মধ্যে ১০টি জুটির পরিচয় হবে অনলাইনের বদৌলতে।
অনলাইন ডেটিং সাইট ইহারমনির (eHarmony) দাবি, পানশালা বা নাইটক্লাবে ডেটিংয়ের দিন শেষ হতে যাচ্ছে। ২০৩১ সালের মধ্যে দুটি সম্পর্কের একটির সূচনা হবে অনলাইন চ্যাটে।
৩৮ শতাংশ জুটি অদূর ভবিষ্যতে অনলাইনে বা ম্যাচম্যাকিং সার্ভিসে ডেট করবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী ইহারমনির।
আর ২০৪০ সালের মধ্যে প্রতি ১০টি জুটির ৭টি তাদের সম্পর্কের জন্য ধন্যবাদ দেবে অনলাইন ডেটিং বা অনলাইনে যোগাযোগকে।
ইহারমনির গবেষণা দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইংল্যান্ডে ২২ শতাংশ ও পূর্ব ইংল্যান্ডের ২০ শতাংশ মানুষ অন্যের সঙ্গে অনলাইনে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে এ হার প্রত্যাশিতভাবে দ্রুত বেড়ে যাবে।
অনলাইনে ডেটিংয়ের প্রসারের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। মনের মানুষের সংস্পর্শে সার্বক্ষণিক থাকাকে আরও সহজ করেছে স্মার্টফোন।
গত দশকের চেয়ে ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের অনলাইন ব্যবহার দ্বিগুণ (৪৩ থেকে ৮৮ শতাংশ) হয়েছে বলে জানিয়েছে ইহারমনি। একই সময়ে অলনাইনে প্রেম হওয়া জুটিদের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে এবং বাড়ছে।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইনে ডেটিংকারীদের অর্ধেকের বেশি স্মার্টফোন ও প্রতি তিনজনের একজন ট্যাবলেট ব্যবহার করে।
গবেষণায় দেখা যায়, স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মক্ষেত্রে প্রেম হওয়ার ঘটনা দ্রুত কমছে। ২০০৭ সালে এ সংখ্যা ১৮ শতাংশ থাকলেও এখন মাত্র ১২ শতাংশ।
ইহারমনির মার্কেটিং ডিরেক্টর রোমাইন বার্ট্রান্ড বলছেন, আগামী দশকে অনলাইন ডেটিং শুধু সঙ্গীর সঙ্গে সাক্ষাতের কার্যকরী মাধ্যম হবে না, জুটির মিলনের ও প্রাথমিক যোগাযোগের সবচেয়ে সাধারণ মাধ্যমে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৪