ঢাকা: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ জীবন সঙ্গী ভ্যালেরি ত্রিয়াবেলারের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করছেন!
ফরাসি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রাঁসোয়া এ ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। তবে গণমাধ্যমের এমন খবর নাকচ করে দিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
ফ্রাঁসোয়ার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ফরাসি মিডিয়ায় ‘মিথ্যা গুজব’ ছড়াচ্ছে।
ফার্স্টলেডির সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ছাড়াছাড়ির খবরটি ফরাসি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রেকিংনিউজ হিসেবে প্রথম প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর কিছুক্ষণ পর ফ্রাঁসোয়ার কার্যালয়ের বক্তব্য প্রকাশ করে বিবিসি।
দুই সপ্তাহ আগে স্বদেশী টেলিভিশন তারকা ও মডেল জুলি গায়েতের সঙ্গে ফ্রাঁসোয়ার প্রেমের খবর প্রকাশ করে ফরাসি সাময়িকী ‘ক্লোজার’। সাময়িকীটি দু’জনের প্রেমের প্রমাণ হিসেবে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করে।
‘ক্লোজার’ বিশেষ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদের কিছুদূরে একটি ফ্ল্যাটে নিয়মিত জুলির সঙ্গে রাত কাটান ৫৯ বছর বয়সী ফ্রাঁসোয়া।
জুলির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নেই এমনটি কখনই প্রকাশ্যে বলেননি ফ্রাঁসোয়া। তবে পরকীয়ার গুজব প্রকাশের
পরপর ‘ক্লোজার’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ‘ক্লোজার’ বিরুদ্ধে।
প্রেসিডেন্টের পরকীয়ার খবর জানার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ভ্যালেরি। হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ভ্যালেরি নিজেই ‘ক্লোজার’ সাংবাদিক।
আর খবর সত্যি হলে এটি হবে ফ্রাঁসোয়ার দ্বিতীয় ছাড়াছাড়ি। ২০০৭ সালে রাজনীতির ময়দানের নিজের সমাজতন্ত্রী সহযোদ্ধা সেগোলেন রয়্যালের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে নিকোলাস সারকোজির উত্তরসূরীর। সেগোলেনের ছাড়াছাড়ির পর ভ্যালেরির প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তাকে সঙ্গীর আসনে বসান ফ্রাঁসোয়া।
*মডেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট!
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা/আপডেটেড: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৪