মার্লবোরো সিগারেটের বিজ্ঞাপন দিয়ে ৭০’র দশকে নাম কুঁড়িয়েছিলেন হলিউডের ম্যানলি হিরো এরিক লসান। সেই সিগারেটই কাল হলো তার জন্য।
ধূমপানজনিত মারাত্মক শ্বাসকষ্টেই মৃত্যূ হলো লসানের। গত ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্যান লুইস ওবিসপোতে নিজ বাড়িতে ৭২ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
এরিক লসান ১৪ বছর বয়স থেকেই একজন ধূমপায়ী ছিলেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত তার ছবিতেই বিজ্ঞাপিত হতো মার্লবোরো সিগারেট। কাউবয় ভঙ্গিমায় সিগারেট ধরানোর সেই ছবি ছাপা থাকতো সিগারেটের প্যাকেটেই।
বলা হতো সিগারেটের সঙ্গে মানিয়ে যাওয়া একটি চরিত্র ছিলেন এরিক লসান।
তবে মার্লবোরো সিগারেটের বিজ্ঞাপনে এরিক লসান ছাড়াও ছিলেন ডেভিড মিলাম, ক্রিস্টিয়ান হ্যারেন, ড্যারেল উইনফিল্ড, ডেভিড ম্যাকলিন, ব্র্যাড জনশনের মতো তারকারা।
চার্লিস এঞ্জেলস, ডাইনাস্টি, বেওয়াচের মতো জনপ্রিয় শোগুলোতে অভিনয় করেন এরিক লসান। ১৯৯৭ সালে একটি দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে তার অভিনয় ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়।
পরে একটি ধূমপান-বিরোধী বিজ্ঞাপনেরও মডেল হন এরিক লসান। এতে ধূমপানের নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে কথা বললেও ব্যক্তিগত জীবনে ধূমপান ছাড়তে পারেননি তিনি।
এরিক লসানের স্ত্রী সুসান লসান বলেন, আমার স্বামী ওই রকম একটি অনুষ্ঠানে যেতে পেরে গর্বিত ছিলেন, কিন্তু নিজে ধূমপান বন্ধ করতে পারেননি। পরে ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিস- সিওপিডিতে আক্রান্ত হন।
এরিক লসান নিজেও জানতেন সিগেরেট তাকে গ্রাস করে নিয়েছে। কিন্তু তিনি তা ছাড়তে পারেননি। জীবন দিয়েই সেই বদঅভ্যাসের ইতি ঘটলো।
এরিক লসান একাই মার্লবোরোর মডেল যিনি ধূমপানের জন্য জীবন দিলেন তা নয়। ডেভিড মিলার ১৯৮৭ সালে ধূমপানজনিত এমফাইসেমায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৫ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান ডেভিড ম্যাকলিন।
সিওপিডি ফুসফুসের এক ধরনের মারাত্মক রোগ যা থেকে মারাত্মক ব্রঙ্কাইটিস, এমফিসেমার সৃষ্টি হয়।
প্রচুর পরিমানে ধূমপান কিংবা দীর্ঘসময়ের ধূমপায়ীরা এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বাংলাদেশ সময় ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৩