বাকুবা: ইরাকের নিরাপত্তা সদরদপ্তরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে বিস্ফোরক ভর্তি একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সদরদপ্তরে ঢুকে পড়ার পর হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।
ইরাকের পাশ্ববর্তী আরেকটি শহরে অপর এক আত্মঘাতী হামলায় আরও দু’জন নিহত ও উচ্চপদস্থ এক প্রাদেশিক কর্মকর্তা আহত হন।
দিয়ালার প্রাদেশিক রাজধানীর বাকুবার নিরাপত্তা সদর দপ্তরে সংঘটিত প্রথম হামলা বিষয়ে বাকুবা হাসপাতালের চিকিৎসক ফিরাজ আল দুলাইমি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ১৪টি মৃতদেহ পেয়েছি এবং ৬৪ জন আহতকে চিকিৎসা দিয়েছি। ’
স্থানীয় সময় সকাল দশটায় সংঘটিত ওই হামলায় মূলত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যালয়কে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ সংস্থাটি দেশের সরকারি ভবনগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত।
প্রথম হামলার ৯০ মিনিট পর পাশ্ববর্তী গালবিয়াহ শহরের শিয়াদের একটি মাজারে এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটান। এ হামলায় দুজন নিহত ও ১৬ জন আহত হন। প্রাদেশিক নিরাপত্তা কমান্ডের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
আহতদের মধ্যে দিয়ালার সহকারী গভর্নর সাদিক আল-হুসেইনি এবং তার তিন দেহরক্ষী আছেন বলে জানা যায়।
২০০৮ সালের মতো এখনও ইরাকের বাকুবা ও দিয়ালা প্রদেশ আল-কায়েদা জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি। ইরাকের অন্যান্য অঞ্চলসহ দিয়ালায় সহিংসতার মাত্রা নাটকীয়ভাবে অনেক কমে গেলেও বাকুবা এখনও দেশটির সবচেয়ে অনিরাপদ অঞ্চল।
এর একদিন আগে ইরাকের তিকরিত শহরে পুলিশ নিয়োগ কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলায় ৫০ জন নিহত ও দেড়শরও বেশি লোক আহত হন। গত দুই মাসের মধ্যে ইরাকে এটা সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১১