ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে দুটি বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জকে নিজ ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে জাপান পাঠ্যপুস্তকে স্থান দিচ্ছে দ্বীপপুঞ্জটিকে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলের ইতিহাস, ভূগোল ও পৌরনীতি বিষয়ে এ পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে জাপান সরকার। এসব পুস্তকে দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রিত ‘দোকদো’ (জাপানে এটি তাহিশিমা নামে পরিচত) ও চীনের সঙ্গে মালিকানা নিয়ে বিবদমান দ্বীপপুঞ্জ ‘সেনকাকু’কে (চীনাদের কাছে এটি দিয়াওয়ু নামে পরিচিত) নিজের ভূখণ্ডভুক্ত হিসেবে দেখাবে জাপান।
জাপানের শিক্ষামন্ত্রী হাকুবুন শিমোমুরা বলেন, শিক্ষার্থীদের জাপানের ইতিহাস সম্পর্কে যথাযথভাবে জানানোর জন্যই পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে এ উদ্যোগ। যারা আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে আমাদের ভূখণ্ড সম্পর্কে তাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে বিতর্কের অবসানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত দু’টি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বেইজিং ও সিউলের সঙ্গে টোকিওর শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।
গত বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত যুদ্ধাপরাধীদের সমাধিস্থল ‘ইয়াসুকুনি মন্দির’ পরিদর্শন ও এ বিষয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবের মন্তব্যের পর উত্তেজনা কাটতে না কাটতে এমন ঘোষণা দিল জাপান।
এ ধরনের পদক্ষেপ শিশুদের ‘মিথ্যা দাবি’ শিক্ষা দিবে বলে মন্তব্য করে দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের সরকার দৃঢ়ভাবে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে জাপানকে এ পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। ’
এরইমধ্যে দেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জাপানের উদ্যোগ বিরুদ্ধে সিউলের রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জাপানের এ ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, আমরা আরও একবার জাপানকে ঐতিহাসিক বাস্তবতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, উস্কানি বন্ধ ও তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৪