নয়াদিল্লি: ভারতে ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি দপ্তরে রদরবদল করা হয়েছে। বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পুনর্গঠনের এ বিষয়টি ঘোষণা করেছেন।
ছোট মাত্রার এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ পরিবর্তন করে এ দপ্তরের মন্ত্রী এমএস গিলকে কম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিত কমওয়েলথ গেমসে বিশৃঙ্খলার জন্য তিনি আংশিক দায়ী থাকায় তার পদাবনতি হয়। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজয় মাকেন।
তবে অন্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের আগের পদেই বহাল রেখেছেন মনমোহন সিং। মূলত বিভিন্ন ধরনের দুনীর্তির কেলেঙ্কারি এবং খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে মন্ত্রিসভায় ছোটখাট পরিবর্তন করেন তিনি। মন্ত্রীসভা পুনর্গঠনের এ ঘোষণার পর মনমোহন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ছোট আকারের পরিবর্তন। মার্চে বাজেট অধিবেশনের পর এক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হবে। ’
তবে সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী এমএস গিলের দপ্তর পরিবর্তন করে পরিসংখ্যানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এ পুনর্গঠনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। অক্টোবরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে নিম্নমানের ভেন্যু নির্বাচন এবং বড় বাজেট নির্ধারণের দায়ে তার পদের অবনতি করা হয়।
তেলমন্ত্রী মুরলি দেওড়াকে তার দপ্তর থেকে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখানে আসবে জয়পাল রেড্ডি। আর কমল নাথ ভূপৃষ্ঠে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে নগর উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তবে এছাড়াও ছিল টেলিকম বিষয়ক কেলেঙ্কারি। স্বল্প মূল্যে টেলিকমের লাইসেন্স বিক্রি করায় রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে চার হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়। এক্ষেত্রে এ ক্ষতি ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় মনমোহন সমালোচনার সম্মুখীন হন।
মন্ত্রিসভার সংস্কার বিষয়ে ডেভলোপমেন্ট স্টাডিজ প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘পুনগর্ঠনের মধ্য শক্তিশালী কোনো বার্তা নেই। সরকারের দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সব মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। ’
সম্প্রতি দুর্নীতিসহ ১২ মাসের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ২০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া সরকারের সবচেয়ে বড় ইস্যুতে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১১