নয়াদিল্লি: দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করার অভ্যাস সরকারি অর্থের ডাহা ও অবিমিশ্র চুরি বলে রায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে পাচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করবে না জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বিদেশি ব্যাংক থেকে এ অবৈধ অর্থ ফেরত ভারত সরকার কী করছে তা জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি জানিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ভারত খুইয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক সংস্কারের পর থেকে অবৈধ অর্থ পাচারের হার বেড়ে গেছে।
আদালতের এ ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বৈঠকে বেশ কয়েক মন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হবে না।
সাবেক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রাম জেঠমালানিসহ আরও কয়েকজন পাচার করা অর্থ ফিরিয়ো আনার ব্যাপারে সরকারের নিশ্চুপ আছে এমন অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে জানতে চান।
এর জবাবে আইনজীবী গোপাল সুব্রামানিয়াম একটি সিল করা খাম আদালতে জমা দেন। এতে ১৬ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। সুইস ব্যাংকে এদের সবার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি বলেন, ‘এগুলোই সম্পূর্ণ তথ্য নাকি আপনি আরও কিছু তথ্য পেয়েছেন! আমরা ব্যাপক অংকের অর্থের কথা বলছি। এটা জাতির লুণ্ঠন। ’
মনমোহন সিং বলেন, বিদেশি ব্যাংকে অর্থ আছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম সরকার প্রকাশ করতে পারবে না।
অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বলেন, সরকার কালো টাকার মালিকদের তথ্য পেয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সরকার তাদের নাম প্রকাশ করতে পারবে না। প্রকাশ করলে অন্য কোনো সরকার ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১১