ইস্তান্বুল: ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির পরমাণু আলোচনা শনিবার হতাশার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন আলোচনা শেষে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
তুরস্কের ইস্তান্বুলে দুই দিনব্যাপী আলোচনার শেষে অ্যাশটন বলেন, ‘আমি হতাশ’। বিশ্বের ছয়টি শক্তিধর দেশের সমস্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলের তিনি নেতৃত্ব দেন।
অ্যাশটন বলেন, ‘নতুন কোনো আলোচনা ধার্য করা হয়নি। ইরান যে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে তা জানা বাকি থেকে গেল। ’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি এই আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি তেহরানের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন। শুক্রবার শুরু হওয়া আলোচনায় সাঈদ জালিলি জানিয়েছেন, তার দেশের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি কোনো আলোচনার বিষয় না। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার আগ্রহ দেখায় ইরান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান অ্যাশটন বলেন, যে কোনো চুক্তির ব্যাপারে ইরান পূর্বশর্ত আরোপ করার চেষ্টা করেছে। তবে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
একদিকে, আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ইরানকে নতুন পরমাণু জ্বালানি বিনিময়ের প্রস্তাব দেয়। আর অন্যদিকে, ইরান নিরস্ত্রীকরণের আলোচনার আগ্রহ দেখায়।
এ বিষয়ে সাঈদ জালিলি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন বলে জানা গেছে। জালিলির প্রতিনিধি দল আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলতে চায়। আর পশ্চিমা কূটনীতিক কেবল তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে চায়। পশ্চিমারা ইরানের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি সেদিকেই পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইরান বরাবরই অভিযোগ নাকচ করে জানিয়ে আসছে। শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই দেশটি পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১১