লন্ডন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তিকে নিয়ে রসিকতা করায় দুঃখ প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। লন্ডনের জাপানি দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ করার পর দেশটির দর্শকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
জাপানি দূতাবাসের কাছে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে লিখিতভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হবে বলেও বিবিসি থেকে জানানো হয়।
গত মাসে ব্রিটেনের কমেডি টেলিভিশনের ‘কিউআই’ নামের একটি কুইজ অনুষ্ঠানে সুতুমু ইয়ামাগুচি নামের এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা নিয়ে রসিকতা করা হয়। ইয়ামাগুচি জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে চালানো দুটি বোমা হামলার পরও বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপক স্টিফেন ফ্রে ইয়ামাগুচিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করেন। গত বছর ৯৩ বছর বয়সে ইয়ামাগুচি মারা যান।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় প্রথম বোমাটি আঘাত করার সময় ইয়ামাগুচি ব্যবসায়িক কাজে সেখানে যান। এসময় বোমার আঘাতে তার শরীর মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। ওই দিনই তিনি ট্রেনে তার নিজ শহর নাগাসাকিতে ফিরে যান। এর তিনদিন পরই এখানে দ্বিতীয় বোমাটি আঘাত করে।
দু’টি বোমার আঘাত থেকে বেঁচ যাওয়া তিনিই একমাত্র ব্যক্তি বলে জাপানের সরকারি সূত্রে জানা যায়।
অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপক ফ্রে বলেন, ‘এ ব্যক্তি হয় সবচেয়ে সুখী বা সবচেয়ে অসুখী। তবে তিনি কি এটা নির্ভর করবে বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন। ’
কমেডিয়ান অ্যালেন ডেভিস তার সরস মন্তব্যে বলেন, ‘বোমগুলো তার ওপর পড়েছে এবং লাফিয়ে সরে গেছে। ’ আরেক কমেডিয়ান ব্রাইডনও তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘গ্লাসটি কি অর্ধেক খালি না অর্ধেক ভরা? যাই হোক না কেন এটা তেজস্ক্রিয়। অতএব এটা পান করবেন না। ’
অনুষ্ঠানের পর পরই জাপানের দূতাবাস থেকে ‘কিউআই’ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। খুব শিগরিই এ চিঠির উত্তর দেওয়া হবে বলে বিবিসি জানায়। এ বিষয়ে এক মুখপাত্র বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১১