ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪
ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: বিক্ষোভের মুখে সরকারের পদত্যাগের পরও অস্থিতিশীলতা থেকে রেহাই মিলছে না ইউক্রেনের। রাশিয়াকে সুবিধা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক একটি চুক্তি না করায় শুরু হওয়া ইউক্রেনের সরকারবিরোধী আন্দোলনে এখন সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।



ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিতে একটি সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভ্যান রম্পুয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যত ইইউ’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইউক্রেনের গণতন্ত্রের লড়াইকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ অভিযোগ করেছেন, তারা সহিংস বিক্ষোভের সাফাই গাইছে তারা দু’মুখো।

মিউনিখে বার্ষিক ওই সম্মেলন রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচন‍া চলছে। সম্মেলনের শুরুতে ভ্যান রম্পুয়ে  ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার একটি প্রস্তাবকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এ প্রস্তাব এখনও রয়েছে এবং আমরা জানি সময় আমাদের পক্ষেই রয়েছে। ইউক্রেনের ভবিষ্যত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত। ’

জন কেরি ইউরোপের মধ্য ও পূর্ব‍াঞ্চল এবং বলকানের বিভিন্ন অংশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, অভিজাতদের স্বার্থে ও দুর্নীতিতে পদদলিত হচ্ছে নাগরিকদের ইচ্ছা।

তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক বিরোধী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে করতে অর্থের ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থ দিয়ে রাজনীতিবিদদের, সংবাদমাধ্যম কেনা হচ্ছে এবং বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে দুর্বল করা হচ্ছে।

কেরি বলেন, ‘যেখানেই গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চলুক না কেন, আজকে ইউক্রেনের চেয়ে ইউরোপের ভবিষ্যত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সংগ্রামে ইউক্রেনের জনগণের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের হাতে তাদের পছন্দ রয়েছে। রাশিয়া এর মধ্যে জড়াবে না। গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় সহিংসতার উসকে দেওয়ার পেছনে কী রয়েছে? ইউরোপের অনেক প্রখ্যাত রাজনীতিক নিজ দেশে আইনের লঙ্ঘনে দ্রুত শাস্তি দিয়ে থাকেন কিন্তু কেন তারা ধরনের হামলায় সমর্থন দিচ্ছেন?

গত নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তি না করায় ইউক্রেনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ থামাতে ‘সরকারবিরোধী বিক্ষোভ’কে অপরাধের আওতাভুক্ত করে একটি আইন করা হয়। অবশেষে বিক্ষোভের মুখে সে আইনটি প্রত্যাহার করা হয়। বিরোধী নেতাকে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও আন্দোলন না থামায় প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।