তিউনিস: তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ ঘানৌচির পদত্যাগের দাবিতে সরকারবিরোধীরা রোববার রাজধানী তিউনিসের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করছে। ঘানৌচি ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক প্রেসিডেন্ট বেন আলির সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
শত শত বিক্ষোভকারী রাস্তায় বিদ্রোহের সময় নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের ছবি এবং পতাকা নিয়ে এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে। তারা এসময় ‘সরকারের পতন ঘটাতেই মানুষ এখানে এসেছে’ সেøাগান দিচ্ছিল।
ডিসেম্বরে বুআজিজি নামের এক তরুণ তিউনিসিয়ার সরকারের কর্মকা-ের প্রতিবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর গোটা তিউনিসিয়া বিক্ষোভ করলে দেশটির রাষ্ট্রপতি জাইন আল-আবিদিন বেন আলি চলতি মাসের ১৪ তারিখ তার ২৩ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর দেশটির স্পিকারকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন করা হলেও ঘানৌচি এবং বেন আলির শাসনকালের কিছু কর্তাব্যক্তি দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদ এখনও ধরে রেখেছে। এই ঘটনার পরপরই ঘানৌচির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন জেগে উঠছে।
তিউনিসিয়ার পতাকায় আবৃত বয়োবৃদ্ধ মোহাম্মেদ লেইয়ানি বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটাতে আমরা এখানে এসেছি। বিক্ষোভকারীরা তিউনিসিয়ার কেন্দ্রস্থলে তাদের এই মিছিলের নাম দিয়েছে ‘ স্বাধীনতার কাফেলা’।
তিউনিসিয়ার শ্রমিকদের সংস্থা ইউজিটিটি এই মিছিলের নের্তৃত্ব দিচ্ছে যারা বেন আলির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হিলারি কিনটনের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি টুইটারে লেখেন, ‘কিনটন চলমান পরিস্থিতিতে ঘানৌচিকে সাহস রাখতে বলেছেন এবং এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্র ধরে রাখতে সাহায্য করতে বলেছেন। ’ তিউনিসিয়া ১৯৫৬ সালে ফ্রান্সের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ২৩ জানুয়ারি ২০১১