ঢাকা: বান্ধবীর মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে আফ্রিকার শেষ মেরু ভল্লুকটি।
প্রায় তিরিশ বছর একসঙ্গে বেড়ে ওঠা বান্ধবী ‘জিবি’র মৃত্যুকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না দক্ষিণ অফ্রিকার জোহানেসবার্গ চিড়িয়াখানার পুরুষ ভল্লুক ‘ওয়াং’।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বান্ধবীর মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছে ওয়াং। জিবি মারা যাওয়ায় এখন সেই আফ্রিকা মহাদেশের শেষ তুষার ভল্লুক। গত ১৩ জানুয়ারি মারা যায় ওয়াং’র বান্ধবী জিবি।
১৯৮৫ সালে জাপানের একটি চিড়িয়াখানা থেকে ওয়াংকে জোহানেসবার্গ জু-তে নিয়ে আসা হয়। আর জিবি’কে নিয়ে আসা হয় কানাডা থেকে। তখন দু’জনেরই বয়স ছিল মাত্র একবছর। সেই থেকে একসঙ্গে বসবাস ওয়াং-জিবির।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা জানান, জিবি মারা যাওয়ার পর নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে প্রায় ২৪ ঘণ্টা প্রিয় বান্ধবীর মৃতদেহ আঁকড়ে রেখেছিল ওয়াং। শেষ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তাকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে জিবির মৃতদেহ সরাতে হয়।
কর্মকর্তারা আরও জানান, বান্ধবীর মৃত্যুর পর থেকেই গুটিয়ে বসে থাকে ওয়াং। এখন খাবার-দাবারেও অতো আগ্রহ নেই, খেলাধুলা বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। ইদানীং শরীরটাও ভাল যাচ্ছে না।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, বার্ধক্য, দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া এবং জিবির মৃত্যুর শোক অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে ওয়াংকে।
আর কোনো মেরু ভল্লুক আফ্রিকার চিড়িয়াখানায় আনা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিলেও ওয়াংকে যাতে জিবির স্মৃতিবিজড়িত চিড়িয়াখানা ছাড়তে না হয়, সেজন্য এখানেই তাকে নিঃসঙ্গ হলেও জীবনের বাকি সময় কাটাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪
আন্তর্জাতিক
বান্ধবীর মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল মেরু ভল্লুক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।