ঢাকা: সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হোমসের পুরনো শহরে সহায়তা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের একটি বহর। আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকা পড়েছিলেন বহরে থাকা জাতিসংঘ ও রেড ক্রিসেন্টের ৭ জন করে মোট ১৪ জন সদস্য।
রেড ক্রিসেন্টের সিরিয়া শাখার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই আটকাবস্থা থেকে বহরটিতে থাকা সংস্থাটির স্টাফ ও জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলকে বের করে আনা বেশ কঠিন ছিল।
সিরিয়ায় নিযুক্ত রেড ক্রিসেন্টের প্রধান খালেদ এরকসোসি জানান, বিদ্রোহী অধ্যুষিত ওই এলাকা ছেড়ে আসার প্রাক্কালে মর্টারের গোলা ও বন্দুকের গুলিতে আক্রান্ত হয় বহরটি।
আক্রান্ত হওয়ার পর রেড ক্রিসেন্টের ৭ সদস্য ও সমানসংখ্যক জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল হোমসের পুরনো শহরের একটি এলাকায় বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে আটকা পড়েন। বহরের গাড়ির কাছে মর্টারের গোলা ও গুলি আঘাত করার পর একজন গাড়িচালক আহত হন।
খালেদ এরকসোসি আরও জানান, স্থানীয় সময় রাত ১০টার আগে আটকা পড়ার পর বহরটির সদস্যদের পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তারপর তাদের স্ব-স্ব গন্তব্যে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
পুরনো শহরের কোয়ার্টারে সহায়তা সংস্থাগুলোকে প্রবেশ করতে দেওয়ার লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় দিনে এভাবে আক্রান্ত হলো রেড ক্রিসেন্ট।
রেড ক্রিসেন্টের সিরিয়া শাখার প্রধান জানান, রোববার সহায়তা অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে কিনা এ ব্যাপারে সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিবেশি লেবাননে নিযুক্ত সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিনিধি জিম ম্যুর জানান, সরকার ও বিরোধীরা এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে।
রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, খাবারের ২৫০টি পার্সেল, ১৯০টি পরিচ্ছন্ন পোশাক ও রোগ প্রতিষেধক ওষুধের প্যাকেট বিতরণের সময় হঠাৎ আক্রান্ত হন জাতিসংঘ ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা।
শুক্রবার হোমস ও এর আশপাশের এলাকায় তিনদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে বিদ্রোহীরা। চুক্তির পর বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকার প্রায় ৩ হাজার বেসামরিক নাগরিককে খাদ্য, পানীয় ও ওষুধ সহায়তা দিতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪