ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সরকারকে উৎখাত করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
শনিবার রাজধানী তেহরানে ইরানি বিপ্লবের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে কয়েক দশকের বিরোধ মেটাতে সম্প্রতি ওয়াশিংটন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তথাপি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের মৌলিক শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেন খামেনি।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে খামেনি বলেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জনগণকে বলছে, তারা ইরানের শাসনতন্ত্রের পরিবর্তন চায় না। কিন্তু এটা মিথ্যা কথা। তারা যদি তা করতে পারতো তাহলে এক মুহূর্তও অপেক্ষা করতো না।
প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির সমালোচনাকারীদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খামেনি বলেন, রৌহানির নেওয়া নীতি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে তাকে আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রনীতিতে আলোচনার মাধ্যমে রৌহানির কূটনৈতিক সাফল্যেরও প্রশংসা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা।
গত সপ্তাহে প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ তাকি মেজবাহ ইয়াজদি অভিযোগ করেন, জেনেভা চুক্তির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রৌহানি ইরানের সম্মান বিক্রি করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট রৌহানি সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইরানের চলমান বিরোধ মেটাতে আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরমাণু ইস্যুসহ যুক্তরাষ্ট্রে দূতাবাস খোলা ও তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে আলোচনা চলছে।
১৯৭৯ সালে পশ্চিমাপন্থি শাসক রেজা শাহ পাহলভীকে সরাতে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংগঠিত। বিপ্লবের পর থেকে নানা সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের টানাপোড়েন সম্পর্ক চলে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪