ঢাকা: প্রায় সাত বছর পর মুখোমুখি আলোচনায় বসেছে দুই কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা। পিয়ংইয়ংয়ের আমন্ত্রণে সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুজানে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হয়।
২০০৭ সালের পর এটি প্রথম বৈঠক বলে জানিয়েছে দুই কোরিয়া পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়।
৯০ মিনিটব্যাপী এ বৈঠকে সিউলের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা কিম-কিয়ুউ-হাউয়ুন এবং পিয়ংইয়ংয়ের কোরীয় সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ উন টং-ইয়ন।
বৈঠকের আগে কিম বলেন, ‘এটি (এ বৈঠক) কোরীয় উপদ্বীপে নতুন যুগের সুচনা করার সুযোগ। ‘সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ‘খোলা দৃষ্টিভঙ্গি ও মন’ নিয়ে আমি বৈঠকে অংশ নিতে চাই। ’
একই পরিবারের সদস্যরা যারা দুই কোরিয়ায় বাস করছেন তাদের মিলন অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে বৈঠকের আগে জানান তিনি।
গত সপ্তাহে দুই কোরিয়ায় বসবাসরত একই পরিবারের সদস্যদের মিলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সম্মত হয় দুই কোরিয়া।
তবে এ মাসের শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার অনুষ্ঠেয় যৌথ সামরিক মহড়ার বাতিল না করলেও উত্তরের কুমগাং অবকাশযাপন কেন্দ্রে ২০ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারির মিলন অনুষ্ঠান বাতিলের হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
সিউল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা লুসি উইলিয়ামসন জানান, উত্তর কোরিয়ার (আলোচনার) আমন্ত্রণ পেয়ে আশ্চর্য হয়ে গেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ছয় বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি প্রথম বৈঠক। গত বছরও আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু প্রটোকলজনিত সমস্যায় অবশেষে তা ভেস্তে যায়। কিন্তু এবার সে সমস্যা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়াকে ইঙ্গিত করে মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সি-পিয়ং সবধরনের বৈরি সামরিক কর্মকাণ্ড বাতিল করতে হবে। এসবকে তিনি শান্তির পথে বাধা হিসেবে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪