ইসলামাবাদ: পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরু হয়েছে। মুম্বাই হামলার পর দেশ দুটির মধ্যে এটাই প্রধান আলোচনা।
উচ্চ পর্যায়ে এটা তৃতীয় বারের মতো এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে প্রথম আলোচনা। ২০০৮ সালে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে ১০ জন বন্দুকধারীর হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়। পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন লস্কার-ই-তইয়েবাকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ওই হামলার জন্য দায়ী করে আসছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা ও শাহ মেহমুদ কোরেশি পরস্পর করমর্দন করার পর ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
এর আগে পাকিস্তান স্বীকার করেছিলো যে, ওই পরিকল্পনা ওই দেশের মাটিতেই করা হয়। ওই ঘটনার জন্য সন্ত্রাস-বিরোধী একটি আদালত জাকিউর রেহমান লাখভিসহ সাত জন সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করে।
এদিকে, বিশ্লেষকদের মতে, চলমান আলোচনাগুলোর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কোনো চুক্তিতে পৌঁছনো সম্ভব নয়। একইসঙ্গে দেশ দুটির মধ্যে বিরাজমান গভীর অনাস্থার সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আনতেও সক্ষম হবে না।
বুধবার এসএম কৃষ্ণা ‘শান্তি ও বন্ধুত্বের’ বার্তা নিয়ে পাকিস্তানের পৌঁছেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদকে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলার আহ্বান জানান।
কৃষ্ণা বলেন, “পাকিস্তানকে বুঝতে হবে যে, এই সফরে ভারতের কোনো খারাপ ইচ্ছা নেই। সন্ত্রাসবাদের ক্যান্সার সমূলে উৎপাটন করতে হবে। আর এটা নির্মূূল করার সুনির্দিষ্ট কোনো পন্থা নেই। ”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত জানান, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সব বিষয়েই আলোচনা হবে। পাকিস্তানের সম্ভাব্য ইস্যুর মধ্যে রয়েছে, আঞ্চলিক পানি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ ও কাশ্মির। উল্লেখ্য, কাশ্মিরকে কেন্দ্র করে দেশ দুটি দুইবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
গত এপ্রিলে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা ভুটানে অনুষ্ঠিত একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের পাশাপাশি নিজেরা বৈঠকে বসেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে স্থবির শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১০