ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আফ্রিকায় এবোলা ভাইরাস সংক্রমণে ৯৩ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৪
আফ্রিকায় এবোলা ভাইরাস সংক্রমণে ৯৩ জনের মৃত্যু

ঢাকা: পশ্চিম আফ্রিকার গিনি ও লাইবেরিয়ায় মরণ ভাইরাস এবোলা’র সংক্রমণে অন্তত ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও শতাধিক ব্যক্তি।

স্থানীয় দাতব্য সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে এ ভাইরাস মহামারি রূপ নিতে পারে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গিনি-লাইবেরিয়া ছাড়িয়ে মালিতেও এই মরণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। শিগগির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে এ ভাইরাস মহামারি রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ)।

শুক্রবার মালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরকারের পক্ষ থেকে জান‍ানো হয়, তিনজন আক্রান্ত রোগীকে জনবিচ্ছিন্ন করে তাদের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুই মাস আগে প্রথমে গিনিতে এটি চিহ্নিত হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী সিয়েরা লিওন ও লাইবেরিয়ায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া, গাম্বিয়াতেও দু’জন রোগীকে জনবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

গিনির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি উপদ্রুত এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গিনিতে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে, এবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লাইবেরিয়া।

লাইবেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়ালটার গ্যনেগেল বলেন, এই সংক্রামক ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা দরকার আমাদের। ইতোমধ্যে এমএসএফ দাতব্য সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসেছে। তারা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

১৯৭৬ সালে প্রথম ধরা পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৫০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এবোলা এমন মারাত্মক ভাইরাস, যাতে সংক্রমিত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুই অবধারিত। এখন পর্যন্ত এই রোগের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি।

২-২১ দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হলে আক্রান্তের মাথাব্যথা, পেশিব্যথা ও কাঁপুনি দেখা দেয়, রুচি নষ্ট হয়ে যায়, বমি ও পেটখারাপ হয়, পেটের শিরায় টান পড়ে। এতে আক্রান্ত হলে এক ধরনের জ্বর হয়ে শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়। বিশেষ করে পেট ও অন্ত্রের নালী এবং প্লীহা ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়।

সাধারণত দেহের তরল পদার্থ যেমন রক্ত, লালা ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে এবোলা ভাইরাস। সরাসরি শারীরিক সংযোগের মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হয়ে থাকে। যেমন-ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সেবা করলে, এবোলা’য় আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ স্পর্শ করলে, এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলেও।

এছাড়া, জীবজন্তু বিশেষ করে বাঁদুড় এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। অসুস্থ বা মৃত জন্তুর সংস্পর্শে এলেও সংক্রমণ হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।