ঢাকা: নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের (ফ্লাইট এমএইচ৩৭০) ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে সমুদ্রে অনুসন্ধান এলাকা আরো অল্প পরিসরে করা হয়েছে।
ব্ল্যাকবক্স থেকে পাওয়া সংকেতের ওপর ভিত্তি করে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে এই অনুসন্ধান এলাকা আরো সুনির্দষ্ট করা হয়।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক অনুসন্ধান কার্যক্রমের প্রধান অঙ্গাস হাউসটন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দূর সমুদ্র থেকে পাওয়া নতুন সংকেত আমাদের আরো আশান্বিত করেছে। আশা করি, আমরা বিমানটির ধ্বংসাবশেষ শিগগিরই উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান এলাকা আরো ছোট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে ৫৭ হাজার নয়শ ২৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। বুধবার এই অনুসন্ধান এলাকা ছিল ৭৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এবং এর আগে ছিল দুই লাখ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান চালানো হয়।
এদিকে, অস্ট্রেলীয় অনুসন্ধান জাহাজ আরো অল্প পরিসরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে উত্তর-পশ্চিম দুই হাজার দুইশ ৮০ কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসাগরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের মুখপাত্র কমান্ডার ইউলিয়াম মার্কস বৃহস্পতিবার বলেন, যখন আমরা দুটো সংকেত (পিং) পেয়েছি, এটি আমাদের আরো আশাবাদী করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যে দুটো সংকেত পেয়েছি, তা কোনো বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে নয়। প্রাকৃতিক কোনো সংকেত নয়। এটা মনুষ্যনির্মিত কোনো কিছু থেকে এ সংকেত আমরা পেয়েছি। সে কারণে আমরা আরো অনেক বেশি আনন্দিত।
তিনি আরো সংকেত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
৮ মার্চ ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে মালয়েশীয় বিমান (ফ্লাইট এমএইচ৩৭০) মালয়েশিয়া থেকে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করার ৪০ মিনিট পর ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর অনেক চেষ্টাতেও বিমানটির কোনো ধ্বংসস্তূপ কিংবা ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া যাত্রীরা বেঁচে আছেন নাকি বিমানটি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিল, সে ব্যাপারেও কেউ নিশ্চিত নন। নিখোঁজের একমাস পরেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বিমানটির অস্তিত্ব নির্ণয় করা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৪