ঢাকা: ‘উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের ব্লাকবক্সের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে’ অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার অসি প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোটের এমন ঘোষণা বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলেও তার কিছু সময় পরই অস্ট্রেলীয় উদ্ধার অভিযান দলের প্রধান এমন দাবি নাকচ করে দেন।
শুক্রবার চীন সফররত টনি অ্যাবোট বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলীয় উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজটির ব্লাকবক্সের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছেন। ’
তবে অল্প সময় পরই তার এ মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অস্ট্রেলীয় অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান সাবেক এয়ার চিফ মার্শাল অ্যানগাস হিউস্টোন এক বিবৃতিতে জানান নিখোঁজ উড়োজাহাজটির ব্লাকবক্স খুঁজে বের করার অভিযানে সাম্প্রতিক সময়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি পাওয়া সংকেতের সঙ্গে নিখোঁজ উড়োজাহাজের ব্লাক বক্সের কোনো সম্পর্ক নেই।
অবশ্য এর আগে হিউস্টোন বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, একটি নৌযান এমন কিছু সংকেত পেয়েছে, যার উৎস প্রাকৃতিক নয়, বরং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বা ওই ধরনের কোনো ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির সঙ্গে এর সাদৃশ্য আছে।
এর পরপরই চীন সফররত অ্যাবোট সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুসন্ধানের জন্য সম্ভাব্য এলাকার আয়তন ছোটো হয়ে এসেছে, কারণ আমরা বেশ কিছু সংকেত নিয়মিত ভাবে পাচ্ছি। উদ্ধারকারী দল ব্লাকবক্সের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে’।
সাধারণত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উড়োজাহাজের ককপিট ভয়েস এবং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারের (ব্লাকবক্স) ৩০ দিন বিরতিহীন সংকেত দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের যন্ত্র দুই সপ্তাহ সংকেত দিতে পারে। বাকি সময়ে সংকেত প্রদান নির্ভর করে এর ব্যাটারির অবস্থার ওপর।
গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘এমএইচ৩৭০’।
এরপর থেকে ব্যাপক অভিযান চললেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি উড়োজাহাজটির।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২১০৪