ঢাকা: মালয়েশীয় উড়োজাহাজ এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার ঠিক আগ মুর্হূতে উড়োজাহাজটির কো-পাইলট সর্বশেষ ফোন কলটি করেন বলে অসমর্থিত সূত্রের তদন্তের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
শনিবার ওই সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানায়, উড়োজাহাজটির দ্রুতগতির কারণে কথোপকথনের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই টাওয়ার থেকে হারিয়ে যায়।
রির্পোটে বলা হয়, উড়োজাহাজটি মালয়েশিয়ার পশ্চিম উপকূলের পেনাং দ্বীপের ওপর দিয়ে খুব নিচ দিয়ে উড়ে যায়। এ সময় একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির টাওয়ার থেকে উড়োজাহাজের ফোন কল রেকর্ড করা হয়, যা কো-পাইলটের বলে রির্পোটে দাবি করা হয়।
তবে রির্পোটের বিষয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মালয়েশীয় পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
যদিও বিমান নিখোঁজের পর পাইলট জাহারি আহমাদ শাহ ও কো-পাইলট ফারিক আব্দুল হামিদ কোনো ধরনের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়।
এদিকে, ‘উড়োজাহাজ উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের ব্লাকবক্সের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে’ অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার অসি প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোটের এমন ঘোষণা বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলেও তার কিছু সময় পরই অস্ট্রেলীয় উদ্ধার অভিযান দলের প্রধান এমন দাবি নাকচ করে দেন।
শুক্রবার চীন সফররত টনি অ্যাবোট বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলীয় উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজটির ব্লাকবক্সের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছেন। ’
তবে অল্প সময় পরই তার এ মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অস্ট্রেলীয় অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান সাবেক এয়ার চিফ মার্শাল অ্যানগাস হিউস্টোন এক বিবৃতিতে জানান নিখোঁজ উড়োজাহাজটির ব্লাকবক্স খুঁজে বের করার অভিযানে সাম্প্রতিক সময়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি পাওয়া সংকেতের সঙ্গে নিখোঁজ উড়োজাহাজের ব্লাক বক্সের কোনো সম্পর্ক নেই।
অবশ্য এর আগে হিউস্টোন বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, একটি নৌযান এমন কিছু সংকেত পেয়েছে, যার উৎস প্রাকৃতিক নয়, বরং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বা ওই ধরনের কোনো ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির সঙ্গে এর সাদৃশ্য আছে।
এর পরপরই চীন সফররত অ্যাবোট সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুসন্ধানের জন্য সম্ভাব্য এলাকার আয়তন ছোটো হয়ে এসেছে, কারণ আমরা বেশ কিছু সংকেত নিয়মিত ভাবে পাচ্ছি। উদ্ধারকারী দল ব্লাকবক্সের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে’।
৮ মার্চ ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে মালয়েশীয় উড়োজাহাজ (ফ্লাইট এমএইচ৩৭০) মালয়েশিয়া থেকে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করার ৪০ মিনিট পর ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর অনেক চেষ্টাতেও উড়োজাহাজটির কোনো ধ্বংসস্তূপ কিংবা ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া যাত্রীরা বেঁচে আছেন নাকি উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিল, সে ব্যাপারেও কেউ নিশ্চিত নন। নিখোঁজের একমাস পরেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে উড়োজাহাজটির অস্তিত্ব নির্ণয় করা যায়নি।
**‘ব্লাকবক্স উদ্ধার’,অসি প্রধানমন্ত্রীর দাবি নিয়ে ধোঁয়াশা
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৪/আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা