মানামা: বাহরাইনের শাসনব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া চলমান বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বুধবার সকালেই হাজার হাজার আন্দোলনকারী রাজধানী মানামায় জড়ো হয়েছেন। গত দুই দিনে বাহরাইনের পুলিশের নির্যাতনে দুইজন নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়েছে।
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটির বাদশাহ মঙ্গলবার এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাজধানী মানামার পার্ল চত্বরে (মুক্তাচত্বর) কেন্দ্রস্থলে প্রায় তিন হাজার বিক্ষোভকারী কম্বল গায়ে দিয়ে বা তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছেন। এখানে একটি সৌধে চূড়ায় রয়েছে বিরাট বড় মুক্তাখণ্ড। পুলিশ ওই স্থানটি নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে। তবে আল ওয়াসাত দৈনিকের সম্পাদক মনসুুর আল-জামরি বলেন, বুধবার নিহত এক বিক্ষোভকারীর জানাজায় পুলিশ লোকজনকে অংশ নিতে দিচ্ছে।
আল-জামরি সিএনএনকে বলেন, ‘বেশ শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে এখানে। আপনি যদি না জানেন এখানে কেউ মারা গেছে, তাহলে আপনার মনে হবে এটা পিকনিক এলাকা। ’ ওই সৌধের দেওয়ালে বিক্ষোভকারীরা সরকার বিরোধী সেøাগান লিখে রেখেছে।
আরব দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ বাহরাইনে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। এর আগে কয়েকদিনের ব্যবধানে তিউনিসিয়া, মিশরে সরকার পতন হয়েছে। বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা মঙ্গলবার টেলিভিশনে ঘোষণা দেন, প্রস্তাবিত সংস্কার পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
বাহরাইন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট নাবিল রজব বলেন, গত সোমবার বিক্ষোভ চলাকালে আলি আবদুল্লাহ মুশাইমা নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মারা যায়। পরদিন মুশাইমার জানাজায় অংশ নিতে গেলে ৩১ বছর বয়সী ফাদেল মাত্রুককে গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী।
বাহরাইন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম রণতরীর সদর দপ্তর রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন। সরকারি তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১১