কলকাতা: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গাড়িতে প্রেস লিখে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় দেদারসে চলছে অবৈধ মালামাল বহনের ঘটনা।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় প্রেসের স্টিকার লাগিয়ে গাড়ি চলে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার।
কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘কতো গাড়ি বেআইনীভাবে প্রেসের স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তার কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। বেআইনী মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ কখনও কেউ করেনি। ’
কিন্তু পুলিশ একথা বললেও, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গমহলেই বেশ কিছুদিন আগে প্রেসের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে ব্যাংক লুটের ঘটনাও ঘটেছে।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, কলকাতা জুড়ে বিভিন্ন বেআইনী নেশাদ্রব্যের ব্যবসার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে পাচারকারীরা প্রেসের স্টিকার লাগানো গাড়ির সুযোগ নিচ্ছে।
কলকাতায় দুর্গাপূজা বা কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে এই গাড়িগুলির চলাচলের প্রবণতা বেড়ে যায় ব্যাপক হারে। মহানগরীর বিভিন্ন একমুখী সড়কে প্রেস স্টিকারের সাহায্য নিয়ে এই গাড়িগুলি বেআইনীভাবে যাতায়াত করে। অনেক সময় দেখা যায়, বাজার করা, স্কুলে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার জন্য এই গাড়ির ব্যবহার হচ্ছে।
কলকাতা উত্তরবন্দর থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, কোনও প্রেসের গাড়িকে আটকানো অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। সংবাদমাধ্যমের গাড়িগুলিকে তল্লাশি করলে পরের দিন সেই থানার পুলিশ কর্মীদের ছবিসহ সংবাদপত্রে বা টিভি চ্যানেলগুলিতে বিশেষ ঘোষণা করে বার বার দেখানো হবে। তাতে একপ্রকার চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু হবে।
রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সাধারণত সরকারি অনুমতি পাওয়া সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবে নিজের গাড়িতে বা সরকার অনুমোদিত সংবাদমাধ্যমগুলিই প্রেস স্টিকার লাগাতে পারেন। আর তা কেবল সংবাদ সংক্রান্ত কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়। আর কেউ গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগাতে পারেন না।
ভারতীয় সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১১