মানামা: বাহরাইনে সরকার সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও শুক্রবার জুমার নামাজের শেষে নিহত বিক্ষোভকারীদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। এরইমধ্যে রাজধানীতে অনেক মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
বিক্ষোভে ৪ জনের মৃত্যুর পর আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উপসাগরীয় ুদ্র রাজতান্ত্রিক দেশ বাহরাইনের পরিস্থিতি। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রাজধানী মানামায় এক শবযাত্রার আয়োজন করেছে বিক্ষোভকারীরা। হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হতে শুরু করেছেন রাজধানীতে। তারা সরকারবিরোধী ব্যানার নিয়ে রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছেন।
সরকারপন্থীরাও একইদিন পাল্টা মিছিল বের করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৃহস্পতিবার আগে সরকার সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। একারণে আরও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। মানামার রাস্তায় সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক নিয়ে নেমেছে। বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্র্তৃপক্ষ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করা দরকার সেনারা তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা এবং সহিংসতার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দশ লাখেরও কম জনসংখ্যার দেশ বাহরাইন খুব ছোট হলেও সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সদর দপ্তর এখানে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলরি কিনটন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালেদ বিন আহমেদ আল খলিফাকে ফোনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। শুক্রবারের শবযাত্রা যাতে কোনো প্রকার সহিংস ঘটনায় প- হয়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
ডিসেম্বরে বাহরাইন সফরে হিলারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাহরাইন সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাহরাইনের সুন্নি অভিজাতদের সঙ্গে প্রশাসনে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন শিয়া সম্প্রদায়ের একাধিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। শিয়াদের অভিযোগ তারা সরকারে কোণঠাসা এবং বৈষম্যমূলক আইন ও অত্যাচারের শিকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১১