অধের্য দোকানদার যখন দেখেন ছোট অস্কার ওসুলিভান হাগস একটি সাদা লাঠি ব্যবহার করছে, তখন এটাকে তারা একটি খেলনা বলেই ধরে নেন। একইসঙ্গে এ নিয়ে অস্কারের সঙ্গে ঠাট্টা তামাশা করেন তারা।
কিন্তু দুই বছর বয়সী অস্কার আদতে জন্মান্ধ। দুলর্ভ বংশগত ক্রটির কারণে জন্ম থেকেই ছোট শিশুটিকে এ ভাগ্য বরণ করে নিতে হয়েছে।
কিন্তু মানুষ যেন তা মানতে নারাজ। ফলে বিভিন্ন সময় সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে বর্তমানে অস্কারের বাবা মা অন্ধ শিশুদের প্রতি সচেনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালানো শুরু করেছেন।
কারণ অস্কারের সাদা ছড়িটিকে অনেকেই খেলনা মনে করে ভুল করেন। এমনকি তার পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় অস্কারের গায়ে ধাক্কাও লাগিয়ে দেন তারা।
বর্তমানে ম্যানচেস্টারের ওয়াইথেনশোয়ে মা কেট হাগ এবং বাবা অ্যান্থনি ওসুলিভান হাগের সঙ্গে বসবাস করা অস্কার লেবেরস কনজেনিটাল অ্যাময়ুরোসিস নামের দুলর্ভ ব্যাধিতে আক্রান্ত।
অস্কারের বাবা বলেন, ‘হাঁটতে শেখার পর থেকেই অস্কার সাদা ছড়িটি ব্যবহার করে আসছে। বাড়িতে একা থাকলে সে এটা ব্যবহার করে। কিন্তু বাইরে বের হলে অধিকাংশ মানুষই তাদের ধৈর্য হারায় এবং তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এসময় ধীরে হাঁটার জন্য তাকে মানুষের অনেক কটুক্তিও শুনতে হয়। ’
‘মাঝে মাঝে আমরা ভাবি হয় তারা ব্যাপারটি সম্পর্কে সচেতন নয় বা এত ছোট বয়সে কেউ অন্ধ হতে পারে বলে তারা ভাবতে পারে না। ’
শিশুদের অন্ধের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে এমনকি তাদের মতো পরিবারগুলো প্রয়োজনীয় সেবা থেকেও বঞ্চিত হন বলে অস্কারের বাবা জানান।
অস্কার বর্তমানে অন্ধ ব্যক্তিদের জন্য ওল্ড ট্রাফোর্ডো ভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান হেনশস সোসাইটির জন্য প্রচারণা চালিয়ে ৫০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করেছে। এ অর্থ অন্ধ এবং আংশিক দেখতে সক্ষম ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে ব্যয় করা হবে।
হেনশসর শিশু ও পরিবার বিষয়ক দল নেতা ফিয়োনা বেরি বলেন, ‘আমাদের এ সংস্থা অন্ধ শিশু ও তাদের মা বাবার জন্য কাজ করে আসছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অস্কারের বিষয়টি একদমই ব্যতিক্রম। কারণ সাদা ছড়ি ব্যবহার করা সেই সবচেয়ে কম বয়সী শিশু। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১১