মানামা: বাহরাইনে চলমান সঙ্কট নিরসণে বাদশাহর জাতীয় সংলাপের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী শিয়া গ্রুপ ওয়েফাক। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শুক্রবার আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব করেন বাদশাহ হামাদ বিন উসা আল-খলিফা।
ওয়েফাক গ্রুপের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, কোনো আলোচনা নয়। সবার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। রাজধানী মানামার রাজপথ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীর পার্ল স্কয়ারে জানাজার পর বিক্ষোভ মিছিলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বর্ষণে অনেক লোক আহত হয়েছেন।
হাসপাতালে ৬০ জনেরও অধিক আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে শনিবার জানা গেছে। শিয়া সম্প্রদায়ের মূল গ্রুপ ওয়েফাকের একজন সদস্য জানান, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
পার্ল স্কয়ারে বিক্ষোভে নিহত ৪ ব্যক্তির জানাজার সময় নিহতদের কফিন নিয়ে শিয়াদের একটি শবযাত্রায় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আঞ্চলিক মিত্র আরব উপসাগরীয় এদেশটিতে সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে যা ওয়াশিংকটনের জন্যও বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার জানাজায় হাজার হাজর মানুষের ঢল নামলে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই রাজা হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দেন। জনগণের সব দাবি দাওয়া মেনে সব রাজনৈতিক দল এবং জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে জাতীয় সংলাপের ডাক দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এসময় তিনি সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে জনগণের প্রতি সংযত আচরণ করার তাগিদ দেন। ওবামা বলেন, বাহরাইনের স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে জনগণের অধিকারের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গি। হোয়াইট হাউস সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১