লন্ডন: ইংল্যান্ডের লিংকনশায়ারের গ্র্যানথাম শহর এতোদিন লৌহমানবী খ্যাত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মারগারেট থেচারের জন্মভূমি হিসেবেই পরিচিত ছিল। এবার এই বাজারের শহরটি সবচেয়ে ঝাল মরিচ উৎপাদনকারী স্থান হিসেবেও পরিচিতি পেল।
মরিচের ঝাল পরিমাপক স্কোভাইল স্কেলে এ মরিচের ঝাঁঝের মাত্রা ১১ লক্ষ ৭০ হাজার। যা এ যাবৎ জানা ঝাল মরিচের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এ মাত্রা এতোটাই বেশি যে এর ঝালে রীতিমতো স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
মরিচটি চাষ করেছেন স্থানীয় অধিবাসী নিক উডস (৩৯) তার খামারের গ্রিন হাউসে। এর মধ্যে তিনি গিনেস রেকর্ড বুকে স্থান করে নিয়েছেন। এর আগে এ রেকর্ডটি ছিল ভারতের ভাট জলোকিয়ার।
উডসের ঝাল খাবারের একটি পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। তিনি জানান, কাকতলীয়ভাবেই এ মরিচটি তার খামারে উৎপন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ঝাল মরিচ চাষের কোন উদ্দেশ্য আমার ছিল না। তবে গ্রিন হাউজে বিভিন্ন জাতের মরিচের মধ্যে সঙ্করায়ণ খুবই স্বাভাবিক। একদিন হঠাৎ করেই আমি একটি নতুন জাতের মরিচ গাছ দেখতে পেলাম। ’
উডস বলেন, ‘মরিচটি মুখে নিতেই ভাল স্বাদ পেলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলো। পরে এতোটাই ঝাল লাগল যে আমি কথা বলতে পারছিলাম না। আমি অস্থির হয়ে লাফাতে থাকি। এক সময় প্রায় অসুস্থ হয়ে বসে পড়তে বাধ্য হই। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি কেউ যেন এ মরিচ প্রক্রিয়াজাত ছাড়াই মুখে না দেয়। ’
পাঁচ বছরের মরিচ চাষের অভিজ্ঞতায় এটি সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করেন উডস। একটা মরিচের গুণে গিনেজ বুকের মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়ে তিনি গর্বিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১