ত্রিপোলি: লিবিয়ার কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে শনিবারও বিক্ষোভ চলছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
এদিকে, রাজধানী ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরে বিক্ষোভে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত হয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, গত শুক্রবার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজির একটি হাসপাতাল সূত্রে নিহতের সংখ্যা ৩৫ জন বলে জানায়।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে একাধিক বার সতর্ক করা হচ্ছে এই বলে যে, গাদ্দাফির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সমালোচনা সহ্য করা হবে না।
ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং কিছু কিছু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। যেসব শহর এবং শহরতলির লোকজন চরম দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন সেসব জায়গাতেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকায় খবরের সত্যতা যাচাই করা কঠিন হলেও বিবিসির খবরে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ইন্টারনেট এবং আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, শুক্রবার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৬০০ মাইল দূরে বেনগাজি শহরে গাদ্দাফির একটি আবাসিক ভবন ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১