ঢাকা: মস্কোর সঙ্গে চূড়ান্ত টানাপড়েন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি করেছে ইউক্রেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর শুক্রবার ইউক্রেনের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি পেত্রো পেরেসেঙ্কো বলেন, “সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মুক্ত হওয়ার পর এটি আমাদের জাতির জীবনে একটি একটি ঐতিহাসিক দিন।
এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর ব্রাসেলস এ তার পাশে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়েল ব্যারোসা ও ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হারমান ভ্যান রোম্পে উপস্থিত ছিলেন। খবর, ফক্স নিউজ, দ্যা টেলিগ্রাফ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন একইসঙ্গে সাবেক সোভিয়েতভূক্ত দেশ মালদোভা ও জর্জিয়ার সঙ্গেও একই চুক্তি করেছে।
এই চুক্তির ফলে সাবেক সোভিয়েতভূক্ত তিনটি দেশের পণ্য কোনো ধরনের শুল্ক ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে। পাশাপাশি ইউরোপের পণ্য এ তিনটি দেশে সহজে প্রবেশ করতে পারবে।
গত বছরের নভেম্বর ইউক্রেনের সাবেক রাষ্ট্রপতি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এই চুক্তি না করে রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ সহযোগিতা নেন।
এরপরই ইউক্রেনের ইইউপন্থি রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী রাষ্ট্রপতি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলন গড়ে তুলে। কয়েক মাসের টানা বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে রুশপন্থি হিসাবে পরিচিত রাষ্ট্রপতি ইয়ানুকোভিচকে মস্কোতে আশ্রয় নিতে হয়।
এর পরই রাশিয়া ইউরোপ ও এশিয়ার গরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার ক্রিমিয়ার নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ নেয়। পাশাপাশি সেখানকার রুশপন্থিরা স্বশাসিত ক্রিমিয়াকে স্বাধীন হিসাবে ঘোষণা দেয়, যা আগে মূলত ইউক্রেনের অংশ হিসাবে বিবেচিত হতো।
এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ইউক্রেন একেবারেই মস্কো থেকে দূরে সরে যাওয়ার বার্তাকে আরো শক্তিশালী করলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কারণ, এই চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ১০ বছরের যে পরিকল্পনা রয়েছে, এটি তারই অংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৪