ঢাকা: পরিবারের অমতে ভিন্ন গোত্রে বিয়ে করায় পাকিস্তানের লাহোরে এক দম্পতির কণ্ঠনালী কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৮ জুন লাহোরের সাতরাহ্ গ্রামের মেয়ে মোয়াফিয়া হোসেইন (১৭) তার চেয়ে ছোট গোত্রের ৩১ বছরের এক যুবককে বিয়ে করে।
পরে মোয়াফিয়ার বাবা কাস্তে দিয়ে এই দম্পতির কণ্ঠনালী কেটে নেন। পুলিশ এ পরিবারের সবাইকে আটক করেছে। খবর: রয়টার্স ও এনডিটিভি।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন উপজাতীয় গোত্রের মধ্যে পরিবারের অমতে বিয়ে করলে সম্মান রক্ষার্থে খুনের (অনার কিলিং) ঘটনা প্রচুর ঘটে।
দি হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান এর হিসাব মতে, শুধু গত এক বছরেই দেশটিতে ৮৬৯টি তথাকথিত ‘অনার কিলিং’ এর ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যেই লাহোরে এই ‘বর্বর’ ঘটনা ঘটলো।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রানা জাশিদ গণমাধ্যমকে জানায়, বিয়ে করার পর থেকেই মোয়াফিয়া তার স্বামীকে নিয়ে ভিন্ন শহরে পালিয়ে ছিলো। কিন্তু তার বাবা-মা তাদেরকে আশ্বস্ত করে যে, তারা এ বিয়ে মেনে নেবেন এবং তারা যেন বাড়ি ফিরে আসে।
বৃহস্পতিবার মোয়াফিয়া তার স্বামীকে নিয়ে সাতরাহ্ গ্রামে আসলে সঙ্গে সঙ্গেই তার পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে।
“পরে মোয়াফিয়ার বাবা একটি ধারালো কাস্তে দিয়ে দু’জনের কণ্ঠনালী কেটে নেয়”, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা রানা জাশিদ।
তিনি জানান, পুলিশ এ ঘটনায় মোয়াফিয়ার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৬ ঘণ্টা, ২০১৪