ঢাকা: বাড়ির অনুমতি ছাড়াই ভালোবেসে এক তরুণকে বিয়ে করায় পাকিস্তানে বরসহ মেয়েকে হত্যা করেছে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা।
হতভাগ্য মেয়েটির নাম মুয়াফিয়া বিবি (১৭) ও তার স্বামীর নাম সাজ্জাদ আহমেদ (৩০)।
শুক্রবার রাতে পূর্ব পাঞ্জাবের সাতরা গ্রামে মেয়েটির মা-বাবা, দুই চাচা এবং দাদা উপস্থিত থেকে তাদের হত্যা করেন।
রোববার আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান আসগর আলী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ দম্পতিকে কসাইয়ের চাপাতি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘটনার জন্য এ পাঁচজন দায়ী।
পুলিশ কর্মকর্তা আসগর আলী জানান, ১৯ জুন মুয়াফিয়া বিবি ও সাজ্জাদ আহমেদ নিজেরাই বিয়ে করেন। এর পর তাদের মিথ্যা কথা বলে মেয়ের বাড়িতে ডেকে আনা হয়। এর আগে তাদের জানানো হয়, পরিবার বিয়েটা মেনে নিয়েছে।
সাজ্জাদের এটা ছিল তৃতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে যায় এবং মুয়াবিয়াকে বিয়ে করার পর দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান।
অপরদিকে, পাঞ্জাবেই ফাইয়াজ আসলাম (২৫) নামে এক ব্যক্তি এক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তরুণীর পরিবার প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে ২০ বছর বয়সী মেয়েটিকে জীবন্ত কবর দেন।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা আখতার সাঈদ জানান, পরে মেয়েটিকে কবর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনার পর ফাইয়াজ আসলামকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সমাজ ব্যবস্থা অত্যন্ত রক্ষণশীল হওয়ায় সে দেশে প্রতিবছরই এ ধরনের ঘটনার জন্য অনেকেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকেন। বিশেষত, মেয়েরা এ ঘটনার শিকার বেশি হয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪