ঢাকা: ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) নজরদারির ঘটনায় কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি।
বুধবার দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিকদের তলব করে এ প্রতিবাদ জানায় ভারত।
এনএসএ-এর নজরদারিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যাতে পূনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানায়, এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দিল্লির পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের কাছে নজরদারির বিষয়ে ব্যাখা এবং নজরদারি বন্ধের দাবি জানানো হয়।
একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে এই মর্মে আশ্বাসও চাওয়া হয় মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে।
২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের যে ছ'টি রাজনৈতিক দলের উপর গোপন নজরদারি চালানোর অনুমতি পায় এনএসএ। সেখানে গত মে ‘তে নতুন সরকার গঠন করা বিজেপিও রয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তানের পিপলস পার্টি ও মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডও ছিল বলে সোমবার ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশিত খবরে বলা হয়।
এছাড়া ভারতসহ মোট ১৯৩টি দেশের সরকার এবং বিভিন্ন অ-মার্কিন সংস্থা ও সংগঠনের উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর ছাড়পত্র দেয় ওই যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
সাবেক এনএসএ-এর কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, কার্যত কোনো দেশই এনএসএ-র নজরদারির বাইরে ছিল না৷ চারটি দেশ (ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড) বাদ দিয়ে অন্য সব দেশের দারুণ গোপন তথ্যটিও মুঠোয় পোরার অধিকার তাদের ছিল৷'
সাবেক এনএসএ-এর কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে দেন। যা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার ঘটনায় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জড়িত সন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ভিসা প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর চলতি বছরের মে-তে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং মোদীকে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৪