দুবাই: আরব দেশগুলোয় ধারাবাহিক বিক্ষোভের উত্তাপ এবার লেগেছে মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবে। মিশর ও তিউনিসিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ফেসবুকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সৌদি জনগণ।
বুধবার ফেসবুকে এমন এশটি পেজ খোলা হয়েছে যাতে কয়েকশ লোক সদস্য হয়েছেন। তারা মার্চ মাসকে ‘প্রতিবাদ দিবস’ ঘোষণা করে প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।
নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা, নারী স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবিতে তাদের এ আন্দোলনের ডাক। পাতায় ১১ মার্চ তারিখটিকে ‘প্রত্যাশার বিপ্লব’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাতায় সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ৪৬০ জন। বুধবার সকালে পাতাটি প্রথম দৃষ্টিগোচর হয়। তবে, পাতাটি কারা খুলেছে আর সদস্যরা সৌদি আরবেই নাকি বাইরে থেকে কেউ পরিচালনা করছেন তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় নি।
গত মাসে জেদ্দায় একটি বিক্ষোভ সংগঠনের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু বন্যায় সারা শহর ভাসিয়ে নেওয়ার কারণে তা সফল হয়নি। রাজতান্ত্রিক দেশটি অধিকারের দাবিতে কোনো গণজমায়েত বরদাশত করে না।
আন্দোলকারীদের দাবি- সরকারের শুরা (পরামর্শক) কাউন্সিলের সদস্যরা অবশ্যই গণভোটের মাধ্যমে আসতে হবে, বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং মতপ্রকাশ ও জনসভা করার স্বাধীনতা।
এছাড়া, সর্বনিম্ন মজুরি ১০ হাজার রিয়াল (২ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার) করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, দুর্নীতি রোধে পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন এবং অপ্রয়োজনীয় কর ও ফি বাতিল করাও তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে।
দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- সেনা বাহিনীর পুনর্গঠন, ক্ষমতাশালী এবং রক্ষণশীল সৌদি সুন্নি মুসলিম ধর্মবেত্তাদের প্রভাব কমানো এবং নারীর ওপর থেকে সব ধরনের অন্যায় অবরোধ তুলে নেওয়া। তবে আন্দোলনের আহ্বানকারীরা রাজতন্ত্রের সংস্কারের কোনো দাবি উত্থাপন করেননি।
বিশাল তেল ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও সৌদি আরবে ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার দেশের এক কোটি ৮০ লাখ নাগরিককে সব ধরনের সামাজিক সুবিধা দিয়ে থাকে তবে তা আরব উপসাগরের অন্যান্য তেল সমৃদ্ধ দেশের তুলনায় অনেক কম।
গত কয়েক মাস বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার পর সৌদি বাদশাহ বুধবার দেশে ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১