ত্রিপোলি: লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বুধবার দেশের জনগণের প্রতি তার শাসনক্ষমতাকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তীব্র দমনপীড়ন, বোমা হামলা চালানোর পর দেশটির শাসনক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা গাদ্দাফির জন্য দিন দিন হুমকি হয়ে পড়ছে।
গাদ্দাফি ঘোষণা দেন, তিনি লিবিয়ায় শহীদ হয়ে যাবেন। এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে, দেশের প্রতি ইঞ্চিতে থাকা বিদ্রোহীদের দমন করারও দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও লিবিয়ার চলমান সহিংসতা বন্ধের জানিয়েছে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যন রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, লিবিয়ার সরকার বিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। তিউনিসিয়া ও মিশরের সফল সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত সাধারণ জনগণ লিবিয়াতেও গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহ শুরু করে।
তবে অশান্ত উত্তর আফ্রিকার এ দেশ থেকে চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সরিয়ে আনছে। একইসঙ্গে সহিংসতা এবং বেসামরিক নাগরিকের উপর হামলার নিন্দা করাসহ নিহতদের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে গাদ্দাফি নেতা থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে এ দেশে শহীদ হওয়ার এবং শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে গাদ্দাফি বলেন, ‘লিবিয়ার জনগণ আমার সঙ্গে আছে। ইদুরদের ধরো। ঘর থেকে বের হয়ে আসুন এবং তাদের খুঁজে বের করুন। ’
জনগণ তার সঙ্গে আছে এ ঘোষণার পর গাদ্দাফি সেনা ও পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এ হামলায় গত আট দিনে শত শত বিক্ষোভকারী নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১