বেঙ্গহাজি: লিবিয়ার সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা দেশটির তৃতীয় বৃহৎ শহর মিসরাতা দখলে নেওয়ার পর নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছেন। এভাবে তারা একের পর এক প্রধান শহরগুলো দখল করে নিলেও বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে ছিলো সম্পূণই ভিন্ন চিত্র।
সেনাবাহিনীকে হটিয়ে বিরোধীরা মিসরাতা শহরটি নিজেদের দখলে নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। একইসঙ্গে তারা লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ শহর বেঙ্গহাজিও দখল করে নেন। এসময় শহরটিতে শুধু বিজয়োল্লাস এবং বন্দুকের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
একইসঙ্গে তরুণ বিদ্রোহীদের শট গান, লাঠি এবং শিকারের ছুরি নিয়ে শহর পাহারা দিতে দেখা যায় বলে সিএনএনের সাংবাদিক জানান।
সাংবাদিক বেন উয়েডেম্যান বলেন, ‘নিজ শহর রক্ষায় এসব তরুণদের উৎসাহের কোনো ঘাটতি নেই। তবে তাদের যা ঘাটতি আছে তা হলো গাদ্দাফির বাহিনীর মতো ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান, জাহাজের। ’
তবে রাজধানী ত্রিপলির চিত্র সম্পূর্ণই ভিন্ন। বিরোধীরা শহরটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানে অস্বস্তিকর নীরবতা নেমে আসে।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাস্তায় কোনো মানুষ নেই, কেউই ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন না, এমনকি জানালা দিয়ে তাকাতেও তারা ভয় পাচ্ছেন। এটা এক প্রকার ভয়াবহ একটি ঘটনা। ’
এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার কারণে এখন তিনি তার বেঁচে থাকা নিয়ে ভীত বলেও ওই নারী জানান। কেননা সত্যি ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার কারণে বাড়িতে গিয়ে মানুষকে অপহরণের ঘটনা ঘটছে বলেও আতঙ্কিত ওই নারী বলেন।
তবে অন্যান্য এলাকা সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সিএনএন ওই সব এলাকার পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে দশম দিনের মতো দেশটিতে অব্যাহত বিক্ষোভের কারণে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের লিবিয়া থেকে সরিয়ে আনছে। একইসঙ্গে গাদ্দাফিকে বিক্ষোভকারীদের উপর সেনা হামলা বন্ধেরও আহ্বান জানান বিশ্ব নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১১