ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

উত্তর প্রদেশে বন্যায় ২৮ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪
উত্তর প্রদেশে বন্যায় ২৮ জনের প্রাণহানি

ঢাকা: ভারতের উত্তরাঞ্চলের জীবনযাত্রা স্থবির করে দিয়েছে নজিরবিহীন বন্যা। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পর এবার উত্তরপ্রদেশে ২৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

অর্ধশতাধিক লোকের নিখোঁজের পাশাপাশি ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে। বিশেষ করে রাজ্যের নেপাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে বেশি, এমনকি পরিস্থিতি কোথাও এতোই ভয়াবহ যে, উদ্ধারকার্যও ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত রপ্তি, সার্যু ও ঘাঘড়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল, পানি প্রবাহের উচ্চতাও ক্রমেই বেড়ে চলছিল। এই প্রেক্ষিতে এ অঞ্চলে বন্যার সতর্কতা বাড়িয়ে এটিকে ‘নজিরবিহীন অবস্থা’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সংবাদ মাধ্যমগুলো আরও জানায়, রাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীকে সর্বোচ্চে তৎপরতা দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সকল চিকিৎসকের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও স্বরাষ্ট্র সীমা বল বাহিনীকে (কেন্দ্রীয় আর্মড পুলিশ) পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠে ডেকেছে রাজ্য সরকার।

রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার সকাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের বাহরাখ, লাখিমপুর খেরি, সীতাপুর, বারাবাঙ্কি, বলরামপুর, শ্রাবস্তী, গোন্ডা, ফয়জাবাদ ও সিদ্ধার্থনগর জেলার ১৫শ’ গ্রামের তিন লাখোধিক মানুষের জীবন স্থবির করে দিয়েছে বন্যা।

উত্তর প্রদেশের সেচ প্রকল্প বিষয়ক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দীপক সিংঘাল বলেন, শুক্রবার সূর্যু বাধের পানি সর্বোচ্চ সীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়। হিসাবে দেখা গেছে, ২.৫ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়েছে এ বাধের ওপর দিয়ে। বাধগুলো যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেজন্য আমরা বাঁধ গেটগুলো খুলে দিয়েছি। শনিবার বিকেলে সমস্যা কিছুটা লাগব হলেও নেপালের ছেড়ে দেওয়া পানিতেই ভাসতে হচ্ছে উত্তর প্রদেশকে।

বন্যা মোকাবেলায় উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার রাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। বৈঠকে সর্বোচ্চ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে, রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, বন্যা ও ভূমিধসে উত্তরাখণ্ডে ৫০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। রাজ্যের পুরি গড়বাল, দেহরাদুন, পিথোরাগড় ও হরিদা জেলা প্রায় সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়ে গেছে। গঙ্গা নদীসহ (পদ্মা) প্রায় সবগুলো প্রধান নদীর পানিই বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৪৫০টি বসত বাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।