ঢাকা: লন্ডনের ইউকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয় ছেড়ে শিগগিরই বের হবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন উইকিলিকস-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তবে কবে নাগাদ তিনি দূতাবাস ছাড়বেন এবং এরপর কোথায় যাবেন সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি অ্যাসাঞ্জ।
দু’বছর ধরে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন। দূতাবাস থেকে বের হলেই তাকে গ্রেফতার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাজ্যের পুলিশ।
কিভাবে ও কবে নাগাদ অ্যাসাঞ্জ দূতাবাস ছেড়ে বের হবেন তা জানাতে না পারলেও উইকিলিকসের মুখপাত্র ক্রিস্টিন রাফসন দূতাবাস ছেড়ে অ্যাসাঞ্জের বের হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বরাত দিয়ে ক্রিস্টিন রাফসন জানান, অ্যাসাঞ্জ জানিয়েছেন তিনি খুব শিগগিরই ইকুয়েডর দূতাবাস ছাড়বেন।
দুজন নারীর করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী নির্যাতনের দায়ে সুইডেনের আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ২০১২ সালের জুন থেকে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
নারী নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তৎকালীন সময়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ পাল্টা অভিযোগ করেন, তিনি যদি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন, তবে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেওয়া হবে। কারণ, ইরাক ও আফগান যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন গোপন নথি উইকিলিকস ফাঁস করে দেয়।
আর এ কারণেই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী মিথ্যা মামলা দায়ের করে অ্যাসাঞ্জকে বন্দী করতে চাইছে বলেও অ্যাসাঞ্জ ও তার আইনজীবী অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪