ঢাকা: জিহাদি হতে দ্য ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস/আইএস) জঙ্গি বাহিনীতে যোগ দিতে নিজ দেশ ব্রিটেন ছেড়েছিলেন তিনি।
এখন মোহভঙ্গ হওয়ায় তিনিই আবার দেশে ফিরতে চান।
দেশে ফিরলে তাকে যেন কারাগারে না পাঠানো হয়, সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছেন তিনি।
এই ব্রিটিশ নাগরিক আরো ৩০ ব্রিটিশ নাগরিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যারা ফের ব্রিটেনে ফিরে আসতে চান।
তারা জিহাদ না করে ব্রিটেনে ফিরে আসার বিষয়ে দ্য টাইম ম্যাগাজিনকে বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই না করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে লড়াই করছে আইএস গ্রুপ। সে কারণে তারা হতাশ হয়েছেন।
এ জন্যই তারা তাদের দেশ ব্রিটেনে ফিরে আসতে চান। তবে শর্ত হিসেবে তারা দাবি করছেন যেন, দেশে ফিরে আসার পর তাদের যেন কারাগারে না পাঠানো হয়।
ব্রিটিশ জিহাদিরা লন্ডনের কিংস কলেজের সেন্টার ফর স্টাডি অব রেডিক্যালাইজেশন অ্যান্ড পলিটিক্যাল ভায়োলেন্সের (আইসিএসআর) গবেষক দলকে জানান, আমরা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই না করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করছি। এ জন্য তো আমরা দেশ ছেড়ে আসিনি। আমরা আমাদের দেশে ফিরে যেতে চাই।
তারা বলেন, এখন আমরা যুদ্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। এ ছাড়া তো আমাদের সামনে আর কোনো উপায় নেই।
এদিকে, আইসিএসআরের পরিচালক পিটার নিউমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, যে পাঁচজন ব্রিটিশ জিহাদির সঙ্গে তারা আলাপ করেছেন, সিরিয়ায় আর যুদ্ধ না করে তারা দেশে ফিরে আসার পথ খুঁজছেন।
তিনি জানান, জিহাদিরা তাদের জানিয়েছেন, তারা আসলে এখন একটা ফাঁদে পড়েছেন। এখন যদি তারা দেশে ফিরে যান, তাহলে ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী তাদের ৩০ বছর কারা ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে, তারা আইএসের হয়ে লড়াই করতেও রাজি নন।
পিটার নিউমান জানান, পাঁচ শতাধিক ব্রিটিশ নাগরিক জিহাদ করার জন্য সিরিয়া এসেছেন। এর মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন। ছয়জন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আর দুইশ ৬০ জন দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ৪০ জন বিচারের মুখোমুখি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪