ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজনের আত্মহত্যা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৪
প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজনের আত্মহত্যা! ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: সারাবিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করেন। সে হিসাবে প্রতিবছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করেন বলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।



আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ গবেষণা জরিপ চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা আত্মহননের মতো পথ বেছে নেন, তাদের ৭৫ ভাগই স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, যারা আত্মহত্যা করেন, তাদের বেশির ভাগই কীটনাশক খেয়ে, ঝুলে কিংবা নিজেকে গুলি করে শেষ করে দেন। এটিই হচ্ছে, আত্মহত্যার সাধারণ পদ্ধতি।

তবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে এ প্রবণতা কম বলে গবেষণা জরিপে তুলে ধরা হয়েছে।

এই জরিপের একটি উদ্দেশ্য হলো, আত্মহত্যার হার কমাতে বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে সমন্বয় তৈরি ও এ বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা বলে জানায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। এ পর্যন্ত মাত্র ২৮টি দেশ আত্মহত্যা প্রতিরোধে কৌশল প্রণয়ন করেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আত্মহত্যার কারণ একেক দেশে একেক রকম এবং তা সেই দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। তবে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশ্বে যে কোনো বয়সে যে কেউ আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে দেখা গেছে, যাদের বয়স ৭০ বছর কিংবা তারও বেশি, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতার হার বেশি। সবচেয়ে তরুণ বয়সের নারী-পুরুষ বেশি আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেন। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্বে বেশি।

আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য: 
গবেষণা জরিপে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। তবে এ জন্য সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা প্রয়োজন।

এ জন্য সমাজে ব্যক্তির স্বীকৃতি ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ভূমিকা রয়েছে। যাদের আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের উচিত নিয়মিত তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া, কখনো কখনো ফোনে কথা বলাসহ তাকে স্বাভাবিক হতে সহায়তা করা। কারণ, যারা আত্মহত্যাপ্রবণ, তারা আবারও আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন।

এ বিষয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ডিপার্টমেন্ট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাবস্ট্যান্স অ্যাবিউজর বিজ্ঞানী ডা. আলেক্সান্দ্রা ফেলিসমান বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ যে কোনো দেশেই এখন সম্ভব। এ জন্য ব্যক্তি উদ্যোগ থেকে শুরু করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।