ঢাকা: মার্কিন সেনাবাহী একটি উড়োজাহাজকে অবতরণ করতে বাধ্য করেছে ইরান।
উড়োজাহাজটি দুবাই থেকে আফগানিস্তান যাওয়ার কথা ছিল।
শনিবার ইরানের আকাশ সীমায় প্রবেশের পর উড়োজাহাজটি দেশটির দক্ষিণের শহর বন্দর আব্বাসে অবতরণে বাধ্য করা হয়।
১০০ মার্কিন সেনাবাহী উড়োহাজাজটি নামতে বাধ্য করার আগে পাইলটের কাছে জানা চাওয়া হয়, কেন উড়োজাহাজটি ইরানের আকাশ সীমায় প্রবেশে করেছে।
উড়োজাহাজটি নামতে বাধ্য করার আগে পাইলটকে সতর্কও করা হয়।
সংবাদমাধ্যম জানায়, উড়োজাহাজটি প্রথমে আফগানিস্তানে চলে যেতে বলা হয়। এরপর পাইলট জানান, আফগানিস্তানে ফিরে যাওয়ার মতো জ্বালানি উড়োজাহাজে নেই। এরপরই সেটিকে অবতরণে বাধ্য করা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথমে এ খবরটি দিলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিষয়টি কূটনৈতিক ইস্যু।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ফ্লাইদুবাই নামে একটি সংস্থা নিয়মিত দুবাই থেকে আফগানিস্তান ফ্লাইট পরিচালনা করে। নিয়মিত রুট হিসেবে সংস্থার ফ্লাইট ইরানের আকাশসীমা অতিক্রম করে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, উড়োজাহাজটি কয়েক ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করে। এ কারণে সন্দেহ দানা বাঁধে।
এ ছাড়া ফ্লাইটটি আসতে দেরি করায় ইরানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের কাছে সংশোধিত ফ্লাইট প্ল্যান না থাকায় তিনি ইরানের আকাশ সীমায় উড়োজাহাজের উপস্থিতির কারণ জানতে চান।
এর পর পরই ইরানের সামরিক জেট উড়োজাহাজটিকে ধাওয়া করে। কিন্তু পরবর্তীতে ইরানের সামরিক হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
তবে এ বিষয়ে ইরান সরকার এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বন্দর আব্বাস হরমুজ প্রণালী সামরিক কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে ইরানের নৌবাহিনীর সদর দফতর অবস্থিত। এ ছাড়াও বেসামরিক উড়োজাহাজসহ সামরিক উড়োজাহাজও অবতরণ ও উড্ডয়ন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৪